London ১১:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
আখাউড়ায় প্রবাসীর বাড়িতে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর চুরির রহস্য উদঘাটন, ২১ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার – পুলিশের অভিযানে আটক ১ মরহুম মীর্জা আব্দুল জব্বার বাবু স্মৃতি ফুটবল প্রীতি ম্যাচে অনুষ্ঠিত কালিয়াকৈরে উপজেলা ও পৌর বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ মিছিল সিরাজগঞ্জে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর ও গর্ভবতী কার্ড প্রদানের কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ সলঙ্গায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক দুর্ঘটনায় কিশোর নিহত-চালক আহত দুর্গাপুরে সীমান্ত এলাকা থেকে ১১০ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ বিয়ের দাবিতে হিন্দু প্রেমিকের বাড়িতে মুসলিম নারী সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত। নুরুল হক নুরকে অবরুদ্ধের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণ অধিকার পরিষদের বিক্ষোভ ও সমাবেশ দূর্বার প্রান্নাথপুর ফাউন্ডেশনের আয়োজনে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে গাজায় ফিলিস্তিনিদের উল্লাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

দীর্ঘ আলোচনার পর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলে মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ায় উল্লাসে ফেটে পড়েছেন গাজার ফিলিস্তিনিরা। তারা আশা করছেন, অবশেষে গত ১৫ মাস ধরে চলা ধ্বংসাত্মক এই যুদ্ধের অবসান হতে চলেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

কাতার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতে, ইসরায়েল ও হামাস একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে, যার মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং গাজাজুড়ে ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনা অন্তর্ভুক্ত। ইসরায়েল বলছে, কয়েকটি বিষয় এখনও রয়েছে, যদিও হামাস এটি গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে।

গাজায় ফিলিস্তিনিদের আনন্দ সঙ্গে শোক মিশে গেছে, কারণ তারা যুদ্ধে অনেক প্রিয়জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বেঁচে আছে। যে যুদ্ধকে অধিকার গোষ্ঠী এবং জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা ‘গণহত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, তারা সুযোগ পেলেই তাদের শহর ও গ্রামে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। কারণ, ইসরায়েলি আক্রমণ এবং তথাকথিত ‘উচ্ছেদের আদেশ’ তাদের বাস্তুচ্যুত করেছে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ইসরায়েলি বোমা হামলায় দুই সন্তান হারানো ৬৬ বছর বয়সী উম্মে মোহাম্মদ বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি হলেই আমি ফিরে যাব এবং উত্তর গাজার বেইত হানুনে আমার ভূমি চুম্বন করব।’

৪৭ বছর বয়সী চিকিৎসক মোহাম্মদ আবু রাই বলেন, ‘আমার মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। তবে আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি, আমরা যেন নিরাপত্তাহীনতা বোধ না করে আমাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারি।’

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৬ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখের বেশি আহত হয়েছেন।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ ও অধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, গাজায় ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে স্কুল, হাসপাতাল ও বাস্তুচ্যুত শিবিরগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছে, যার ফলে জীবন ধারণকারী প্রায় সমস্ত মৌলিক পরিষেবা ও কাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের স্যাটেলাইট সেন্টার দেখেছে, গাজা উপত্যকার ৬৬ শতাংশ কাঠামো ইসরায়েলি আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

যুদ্ধের শুরুতে গাজার ওপর ইসরায়েল তার বিদ্যমান অবরোধ আরও জোরদার করে, যার ফলে ব্যাপক দুর্ভিক্ষ এবং জনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে।

ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। বর্বর এ বাহিনীর নির্বিচার হামলা গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১০:১৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
৪২
Translate »

যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে গাজায় ফিলিস্তিনিদের উল্লাস

আপডেট : ১০:১৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

দীর্ঘ আলোচনার পর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলে মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ায় উল্লাসে ফেটে পড়েছেন গাজার ফিলিস্তিনিরা। তারা আশা করছেন, অবশেষে গত ১৫ মাস ধরে চলা ধ্বংসাত্মক এই যুদ্ধের অবসান হতে চলেছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।

কাতার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতে, ইসরায়েল ও হামাস একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে, যার মধ্যে বন্দি বিনিময় এবং গাজাজুড়ে ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনা অন্তর্ভুক্ত। ইসরায়েল বলছে, কয়েকটি বিষয় এখনও রয়েছে, যদিও হামাস এটি গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে।

গাজায় ফিলিস্তিনিদের আনন্দ সঙ্গে শোক মিশে গেছে, কারণ তারা যুদ্ধে অনেক প্রিয়জনের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বেঁচে আছে। যে যুদ্ধকে অধিকার গোষ্ঠী এবং জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা ‘গণহত্যা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, তারা সুযোগ পেলেই তাদের শহর ও গ্রামে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। কারণ, ইসরায়েলি আক্রমণ এবং তথাকথিত ‘উচ্ছেদের আদেশ’ তাদের বাস্তুচ্যুত করেছে।

২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ইসরায়েলি বোমা হামলায় দুই সন্তান হারানো ৬৬ বছর বয়সী উম্মে মোহাম্মদ বলেন, ‘যুদ্ধবিরতি হলেই আমি ফিরে যাব এবং উত্তর গাজার বেইত হানুনে আমার ভূমি চুম্বন করব।’

৪৭ বছর বয়সী চিকিৎসক মোহাম্মদ আবু রাই বলেন, ‘আমার মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। তবে আমি সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি, আমরা যেন নিরাপত্তাহীনতা বোধ না করে আমাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারি।’

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৪৬ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখের বেশি আহত হয়েছেন।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ ও অধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, গাজায় ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে স্কুল, হাসপাতাল ও বাস্তুচ্যুত শিবিরগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছে, যার ফলে জীবন ধারণকারী প্রায় সমস্ত মৌলিক পরিষেবা ও কাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের স্যাটেলাইট সেন্টার দেখেছে, গাজা উপত্যকার ৬৬ শতাংশ কাঠামো ইসরায়েলি আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

যুদ্ধের শুরুতে গাজার ওপর ইসরায়েল তার বিদ্যমান অবরোধ আরও জোরদার করে, যার ফলে ব্যাপক দুর্ভিক্ষ এবং জনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে।

ইসরায়েলি আগ্রাসনে ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। বর্বর এ বাহিনীর নির্বিচার হামলা গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে।