London ১১:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:

‘যাই হোক না কেন, আমরা গাজা ছেড়ে যাব না’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সম্প্রতি গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নিয়ে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাকে ‘দখলের’ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এমন বক্তব্যের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ফক্স নিউজকে বলেছেন, ট্রাম্পের এই ‌‘উল্লেখযোগ্য’ পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।

তবে ট্রাম্পের এমন প্রস্তাব নিয়ে বিশ্বজুড়েই নিন্দার ঝড় উঠেছে। সৌদি আরব, চীন, রাশিয়া, স্পেনসহ বিশ্বের বহু দেশ ও সংগঠন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিরা বলছেন, যাই হোক না কেন, আমরা গাজা ছেড়ে যাব না।

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি দূত ড্যানি ড্যানন বলেছেন, তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থাকবে। তারা ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে অংশ নেবে না।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেছেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী গাজায় ‘সকল বিকল্পের জন্য প্রস্তুত’ রয়েছে। এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রে সফর করছেন। এরই মধ্যে তিনি মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তর পরিদর্শন করেছেন। এই সফরে তিনি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ এবং সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ঘনিষ্ট মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

এর আগে হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, আমি ইসরায়েলকে ভালোবাসি আমি সেখানে সফর করবো। আমি গাজা, সৌদি আরব এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যসব দেশগুলোতেও সফর করবো। তবে তার এই সফরের নির্ধারিত সময়সূচি তিনি উল্লেখ করেননি।

ফিলিস্তিনিদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে সরিয়ে গাজার নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চান বলেও জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বিশ্বের মানুষ যেন সেখানে বসবাস করতে পারে সেজন্য গাজাকে পুনর্গঠনও করতে চান তিনি।

এর প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, ট্রাম্পের এমন প্রস্তাবে এই অঞ্চলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। গাজার মানুষ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে দেবে না বলেও জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহুর মতো একজন যুদ্ধাপরাধীকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ওয়াশিংটনে ফিলিস্তিনপন্থিরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছে। গাজাযুদ্ধে ইসরায়েল ৬১ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। আহত হয়েছেন এক লাখের বেশি মানুষ। হতাহতদের অধিকাংশই নারী এবং শিশু।

অন্যদিকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দৃঢ় সমর্থনের কথা জানিয়েছে সৌদি আরব। পাশাপাশি নিজেদের ভূমি থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টাকেও প্রত্যাখ্যান করছে দেশটি। সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠবে না।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৯:২১:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
Translate »

‘যাই হোক না কেন, আমরা গাজা ছেড়ে যাব না’

আপডেট : ০৯:২১:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সম্প্রতি গাজা উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে নিয়ে অবরুদ্ধ এই উপত্যকাকে ‘দখলের’ পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এমন বক্তব্যের পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ফক্স নিউজকে বলেছেন, ট্রাম্পের এই ‌‘উল্লেখযোগ্য’ পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত।

তবে ট্রাম্পের এমন প্রস্তাব নিয়ে বিশ্বজুড়েই নিন্দার ঝড় উঠেছে। সৌদি আরব, চীন, রাশিয়া, স্পেনসহ বিশ্বের বহু দেশ ও সংগঠন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে। গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনিরা বলছেন, যাই হোক না কেন, আমরা গাজা ছেড়ে যাব না।

জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলি দূত ড্যানি ড্যানন বলেছেন, তার দেশ যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থাকবে। তারা ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে অংশ নেবে না।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেছেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী গাজায় ‘সকল বিকল্পের জন্য প্রস্তুত’ রয়েছে। এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রে সফর করছেন। এরই মধ্যে তিনি মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তর পরিদর্শন করেছেন। এই সফরে তিনি হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ এবং সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ঘনিষ্ট মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

এর আগে হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, আমি ইসরায়েলকে ভালোবাসি আমি সেখানে সফর করবো। আমি গাজা, সৌদি আরব এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যসব দেশগুলোতেও সফর করবো। তবে তার এই সফরের নির্ধারিত সময়সূচি তিনি উল্লেখ করেননি।

ফিলিস্তিনিদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে সরিয়ে গাজার নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চান বলেও জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বিশ্বের মানুষ যেন সেখানে বসবাস করতে পারে সেজন্য গাজাকে পুনর্গঠনও করতে চান তিনি।

এর প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে, ট্রাম্পের এমন প্রস্তাবে এই অঞ্চলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। গাজার মানুষ এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে দেবে না বলেও জানানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহুর মতো একজন যুদ্ধাপরাধীকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ওয়াশিংটনে ফিলিস্তিনপন্থিরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছে। গাজাযুদ্ধে ইসরায়েল ৬১ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। আহত হয়েছেন এক লাখের বেশি মানুষ। হতাহতদের অধিকাংশই নারী এবং শিশু।

অন্যদিকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দৃঢ় সমর্থনের কথা জানিয়েছে সৌদি আরব। পাশাপাশি নিজেদের ভূমি থেকে ফিলিস্তিনিদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টাকেও প্রত্যাখ্যান করছে দেশটি। সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠবে না।