London ০২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারত থেকে আনা রেলের পণ্যবাহী ৩০টি ওয়াগনের পরীক্ষামূলক চলাচল

ভারত থেকে আমদানি করা ওয়াগনের পরীক্ষামূলক চলাচল। বৃহস্পতিবার সকালে সৈয়দপুর থেকে পঞ্চগড় যাওয়ার পথে ছবি

সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার গতিতে ভারত থেকে আমদানি করা রেলওয়ের পণ্যবাহী ৩০টি ওয়াগনের পরীক্ষামূলক চলাচল (ট্রায়াল রান) শেষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত ৩১০ কিলোমিটার রেলপথে ব্রডগেজ (বড়) লাইনের এই ওয়াগনগুলো পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়।

পর্যাপ্ত লোড থাকলেও পরীক্ষামূলক চলাচলে কোনো কারিগরি ত্রুটি দেখা যায়নি। এর আগে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ওয়াগন শপে ওয়াগনগুলো রক্ষণাবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।

রেলওয়ে কারখানা সূত্রে জানা গেছে, একসময় পণ্যবাহী ওয়াগনে সারা দেশে মালামাল পরিবহন করা হতো। পরে সড়কপথে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানে পণ্য পরিবহনের পরিমাণ বাড়লে রেলওয়ে খাত অবহেলিত হয়। এ জন্য রেলপথে পণ্য পরিবহনে উৎসাহিত করতে উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তারা নিরাপদ ও কম খরচে মালামাল পরিবহনের অংশ হিসেবে ভারত থেকে ২৯০টি ওয়াগন আমদানি করার উদ্যোগ নেয়। সেখান থেকে ৩০টি ওয়াগন গত সেপ্টেম্বর মাসে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় আনা হয়।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ওয়াগন শপে (উপ-কারখানা) ৩০টি ওয়াগনের প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এরপর কারিগরি দিক বিবেচনায় নিয়ে আজ পরীক্ষামূলক চলাচল করা হয়। প্রতিটি ওয়াগনে পর্যাপ্ত লোড দেওয়া হয়। সকালে ৩০টি ওয়াগন, একটি গার্ড ভ্যানসহ রেলওয়ের বহর (র‍্যাক) সৈয়দপুর কারখানা থেকে পঞ্চগড়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন পর্যন্ত ৩১০ কিলোমিটার আসা-যাওয়া করে।

পরীক্ষামূলক চলাচলে নেতৃত্ব দেন সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার উৎপাদন প্রকৌশলী (পিই) জাহিদ হাসান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ওয়াগন আমদানি প্রকল্পের কার্যব্যবস্থাপক ফয়েজ আহমেদ খান, ওয়াগন শপের ইনচার্জ ঊর্ধ্বতন উপসহকারী নিজামুল হকসহ সংশ্লিষ্ট শাখার শ্রমিক-কর্মচারীরা।

ওয়াগন শপের ইনচার্জ নিজামুল হক বলেন, ‘আমাদের ওয়াগনের ট্রায়াল রান সফল হয়েছে। সর্বোচ্চ গতি ৮০ কিলোমিটার তোলা হয়। পর্যাপ্ত লোড থাকলেও কোনো কারিগরি ত্রুটি দেখা যায়নি। ওয়াগনগুলো বেশ উন্নত মানের।’

প্রকৌশলী জাহিদ হাসান বলেন, ট্রায়াল রান গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া। সফলভাবে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ট্রায়াল রানে যাওয়ার আগে ওয়াগনগুলোর যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও কারিগরি দিক গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ওয়াগন শপে সেই কাজ করা হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:১৩:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪
৪৩
Translate »

ভারত থেকে আনা রেলের পণ্যবাহী ৩০টি ওয়াগনের পরীক্ষামূলক চলাচল

আপডেট : ১১:১৩:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

ভারত থেকে আমদানি করা ওয়াগনের পরীক্ষামূলক চলাচল। বৃহস্পতিবার সকালে সৈয়দপুর থেকে পঞ্চগড় যাওয়ার পথে ছবি

সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার গতিতে ভারত থেকে আমদানি করা রেলওয়ের পণ্যবাহী ৩০টি ওয়াগনের পরীক্ষামূলক চলাচল (ট্রায়াল রান) শেষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা থেকে পঞ্চগড় পর্যন্ত ৩১০ কিলোমিটার রেলপথে ব্রডগেজ (বড়) লাইনের এই ওয়াগনগুলো পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়।

পর্যাপ্ত লোড থাকলেও পরীক্ষামূলক চলাচলে কোনো কারিগরি ত্রুটি দেখা যায়নি। এর আগে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ওয়াগন শপে ওয়াগনগুলো রক্ষণাবেক্ষণ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।

রেলওয়ে কারখানা সূত্রে জানা গেছে, একসময় পণ্যবাহী ওয়াগনে সারা দেশে মালামাল পরিবহন করা হতো। পরে সড়কপথে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানে পণ্য পরিবহনের পরিমাণ বাড়লে রেলওয়ে খাত অবহেলিত হয়। এ জন্য রেলপথে পণ্য পরিবহনে উৎসাহিত করতে উদ্যোগ নেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তারা নিরাপদ ও কম খরচে মালামাল পরিবহনের অংশ হিসেবে ভারত থেকে ২৯০টি ওয়াগন আমদানি করার উদ্যোগ নেয়। সেখান থেকে ৩০টি ওয়াগন গত সেপ্টেম্বর মাসে সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানায় আনা হয়।

সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ওয়াগন শপে (উপ-কারখানা) ৩০টি ওয়াগনের প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। এরপর কারিগরি দিক বিবেচনায় নিয়ে আজ পরীক্ষামূলক চলাচল করা হয়। প্রতিটি ওয়াগনে পর্যাপ্ত লোড দেওয়া হয়। সকালে ৩০টি ওয়াগন, একটি গার্ড ভ্যানসহ রেলওয়ের বহর (র‍্যাক) সৈয়দপুর কারখানা থেকে পঞ্চগড়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন পর্যন্ত ৩১০ কিলোমিটার আসা-যাওয়া করে।

পরীক্ষামূলক চলাচলে নেতৃত্ব দেন সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার উৎপাদন প্রকৌশলী (পিই) জাহিদ হাসান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ওয়াগন আমদানি প্রকল্পের কার্যব্যবস্থাপক ফয়েজ আহমেদ খান, ওয়াগন শপের ইনচার্জ ঊর্ধ্বতন উপসহকারী নিজামুল হকসহ সংশ্লিষ্ট শাখার শ্রমিক-কর্মচারীরা।

ওয়াগন শপের ইনচার্জ নিজামুল হক বলেন, ‘আমাদের ওয়াগনের ট্রায়াল রান সফল হয়েছে। সর্বোচ্চ গতি ৮০ কিলোমিটার তোলা হয়। পর্যাপ্ত লোড থাকলেও কোনো কারিগরি ত্রুটি দেখা যায়নি। ওয়াগনগুলো বেশ উন্নত মানের।’

প্রকৌশলী জাহিদ হাসান বলেন, ট্রায়াল রান গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়া। সফলভাবে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ট্রায়াল রানে যাওয়ার আগে ওয়াগনগুলোর যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও কারিগরি দিক গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ওয়াগন শপে সেই কাজ করা হয়।