London ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৪ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
ব্যারিস্টার কায়সার কামালের সহযোগিতায় আরো ৪৬ জন বিনামূল্যে পাচ্ছেন চোখের চিকিৎসা কালিয়াকৈরে ট্রাক ও কভারভ্যান সংঘর্ষে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কভারভ্যান পুকুরে পড়ে যায় দুই মাথা নিয়ে জন্ম হলো শিশুর পটুয়াখালীতে আপন ভাইদের দাপটে ১০ বছর বাড়িছাড়া, আদালত প্রাঙ্গন থেকে গুম ও হত্যাচেষ্টা হাটিকুমরুলে ট্রানজিট মিক্সচার উল্টে চালকের মৃত্যু রাণীনগরে মৌসুমী সমৃদ্ধির বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি রাজশাহীতে চলছে বিভাগীয় বৃক্ষমেলা বাগমারায় সাব্বির ক্লিনিক এ অতিরিক্ত বিল নেয়ার অভিযোগ পটুয়াখালীতে একদিনে মিলল পাঁচ লাশ বরগুনাতে চাঁদা না দেয়ায় জেলেকে কুপিয়ে জখম, হাসপাতালে এসে হত্যার হুমকি।

বরগুনাতে চাঁদা না দেয়ায় জেলেকে কুপিয়ে জখম, হাসপাতালে এসে হত্যার হুমকি।

মুহাম্মাদ রাকিব, পটুয়াখালী প্রতিনিধি

বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী বাজারে এ ঘটনা ঘটে ভুক্তভোগী সোহেল ফকির মুমূর্ষ অবস্থায় বর্তমানে পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারী বিভাগে ভর্তি রয়েছে। আহত সোহেল ফকির জানান, আজ (শনিবার) দুপুর তিনটায় বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলা গুলিশাখালী ইউনিয়নের গুলিশাখালী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

তার অভিযোগ বিগত তিন মাস আগে গুলিশখালীর জেলেপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম আমার কাছে এক লক্ষ টাকা ধার চেয়েছিল আমার দিতে সামর্থ্য না থাকায় টাকা দিতে না পারলে বিভিন্ন সময় আমাকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসছিলো। সর্বশেষ এক মাস আগে ইব্রাহিম, আলাউদ্দিন, মনির ঘরামি, ফাতাউল্লাহ সহ ৮-১০ জন লোক গুলিশাখালী বাজারে বসে আমার পথ রোধ করে আমার কাছে আড়াই লক্ষ টাকা চায় যদি আমি এক মাসের মধ্যে টাকা না দেই তাহলে আমাকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলে এরই জের ধরে আজ ইব্রাহিম, আলাউদ্দিন, মনির ঘরামি, ফাতাউল্লাহ সহ ৩০- ৪০ জন লোক মোটরসাইকেল যোগে এসে দেশীয় অস্ত্র দা, বগি, কুড়াল, ছেনা নিয়ে এসে গুলিশাখালী বাজারে আমার দোকানে এসে আতর্কিত হামলা চালায়। আমি দৌড়ে পালিয়ে যেতে চাইলে আলাউদ্দীন, ইব্রাহিম বগি দিয়ে আমার মাথায় কোপ দেয় আমি মাটিতে পড়ে গেলে তারা হাতুড়ি, রড দিয়ে পিটায়।

ভুক্তভোগী সোহেল ফকিরের স্ত্রী সীমা বেগম জানান, আমি খবর পেয়ে দৌড়ে বাজারে গিয়ে দেখি আমার স্বামী হুশহীন অবস্থায় পড়ে আছে পরে আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিলে বাধাগ্রস্ত হই পরে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে এমারজেন্সিতে আমার স্বামীর মাথার সেলাই চলা অবস্থায় মনির ঘরামি এসে আমার স্বামী ও আমাদের মারধর ও জখম করার হুমকি দিয়ে মামলা না করার জন্য বলেন। বিষয়টির সত্যতা আহত সোহেল ফকিরের সাথে থাকা তার ভাই সবুজ ফকির, চাচা রিয়াজ মৃধা, ইব্রাহিম মৃধা, জহুরুল ফকির, বোন রুমা বেগম, জরুরি বিভাগের কর্মচারীরা নিশ্চিত করেছেন। বরগুনা জেলা প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠ বিচার ও পরিবারের নিরাপত্তা চান সোহেল ফকির।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৩:৩২:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫
Translate »

বরগুনাতে চাঁদা না দেয়ায় জেলেকে কুপিয়ে জখম, হাসপাতালে এসে হত্যার হুমকি।

আপডেট : ০৩:৩২:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী বাজারে এ ঘটনা ঘটে ভুক্তভোগী সোহেল ফকির মুমূর্ষ অবস্থায় বর্তমানে পটুয়াখালী সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সার্জারী বিভাগে ভর্তি রয়েছে। আহত সোহেল ফকির জানান, আজ (শনিবার) দুপুর তিনটায় বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলা গুলিশাখালী ইউনিয়নের গুলিশাখালী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

তার অভিযোগ বিগত তিন মাস আগে গুলিশখালীর জেলেপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম আমার কাছে এক লক্ষ টাকা ধার চেয়েছিল আমার দিতে সামর্থ্য না থাকায় টাকা দিতে না পারলে বিভিন্ন সময় আমাকে খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসছিলো। সর্বশেষ এক মাস আগে ইব্রাহিম, আলাউদ্দিন, মনির ঘরামি, ফাতাউল্লাহ সহ ৮-১০ জন লোক গুলিশাখালী বাজারে বসে আমার পথ রোধ করে আমার কাছে আড়াই লক্ষ টাকা চায় যদি আমি এক মাসের মধ্যে টাকা না দেই তাহলে আমাকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলে এরই জের ধরে আজ ইব্রাহিম, আলাউদ্দিন, মনির ঘরামি, ফাতাউল্লাহ সহ ৩০- ৪০ জন লোক মোটরসাইকেল যোগে এসে দেশীয় অস্ত্র দা, বগি, কুড়াল, ছেনা নিয়ে এসে গুলিশাখালী বাজারে আমার দোকানে এসে আতর্কিত হামলা চালায়। আমি দৌড়ে পালিয়ে যেতে চাইলে আলাউদ্দীন, ইব্রাহিম বগি দিয়ে আমার মাথায় কোপ দেয় আমি মাটিতে পড়ে গেলে তারা হাতুড়ি, রড দিয়ে পিটায়।

ভুক্তভোগী সোহেল ফকিরের স্ত্রী সীমা বেগম জানান, আমি খবর পেয়ে দৌড়ে বাজারে গিয়ে দেখি আমার স্বামী হুশহীন অবস্থায় পড়ে আছে পরে আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিলে বাধাগ্রস্ত হই পরে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে এমারজেন্সিতে আমার স্বামীর মাথার সেলাই চলা অবস্থায় মনির ঘরামি এসে আমার স্বামী ও আমাদের মারধর ও জখম করার হুমকি দিয়ে মামলা না করার জন্য বলেন। বিষয়টির সত্যতা আহত সোহেল ফকিরের সাথে থাকা তার ভাই সবুজ ফকির, চাচা রিয়াজ মৃধা, ইব্রাহিম মৃধা, জহুরুল ফকির, বোন রুমা বেগম, জরুরি বিভাগের কর্মচারীরা নিশ্চিত করেছেন। বরগুনা জেলা প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠ বিচার ও পরিবারের নিরাপত্তা চান সোহেল ফকির।