London ০৮:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ববি উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক:

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) বিতর্কিত উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে অপসারণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। একদফা দাবি নিয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো সোমবার (৫ মে) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, তিন সপ্তাহ ধরে আমরা ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে আসছি। এই সময়ে উপাচার্য আমাদের সাথে দেখা বা কথা বলেননি। তবে আমাদের দাবিগুলো যৌক্তিক এবং আমরা সৎভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় উপাচার্য তার নৈতিক পদস্খলন বুঝতে পেরে গতকাল আমাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছেন। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে উপাচার্য নৈতিক দিক থেকে পরাজয় বরণ করেছেন। বিগত ৯ মাসে উপাচার্য যেসব আশ্বাস দিয়েছেন তার কিছুই বাস্তবায়ন করতে পারেননি। এমনকি ক্যান্সার আক্রান্ত শিক্ষার্থীর মানবিক আবেদন তিনি খুলে দেখার সময় পাননি। অথচ তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে আওয়ামী দোসরদের বসানোতে মনোনিবেশ করে আছেন। এই উপাচার্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কাজ হচ্ছে না। তিনি নিজেও ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে মরিয়া। আমরা তার পদত্যাগ চাই।

শিক্ষার্থী রাকিন খান বলেন, উপাচার্য বলেছেন মুচলেকা দিলে মামলা বা জিডি তোলা হবে। তার আহ্বানে কোনো শিক্ষার্থী সাড়া দেয়নি। মাসের ২৫ দিন তিনি ক্যাম্পাসে থাকেন না, ঢাকায় পড়ে থাকেন। আমাদের উপাচার্য ফ্যাসিবাদ বপন করছেন। যতদিন তিনি পদ ছেড়ে না যাবেন ততদিন আমরা আন্দোলন থেকে পিছু হটবো না।

অবস্থান কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান নিয়ে বিক্ষোভ করে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০১:২৯:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
Translate »

ববি উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আপডেট : ০১:২৯:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) বিতর্কিত উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনকে অপসারণের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। একদফা দাবি নিয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো সোমবার (৫ মে) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের নিচ তলায় এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, তিন সপ্তাহ ধরে আমরা ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন চালিয়ে আসছি। এই সময়ে উপাচার্য আমাদের সাথে দেখা বা কথা বলেননি। তবে আমাদের দাবিগুলো যৌক্তিক এবং আমরা সৎভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ায় উপাচার্য তার নৈতিক পদস্খলন বুঝতে পেরে গতকাল আমাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছেন। এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে উপাচার্য নৈতিক দিক থেকে পরাজয় বরণ করেছেন। বিগত ৯ মাসে উপাচার্য যেসব আশ্বাস দিয়েছেন তার কিছুই বাস্তবায়ন করতে পারেননি। এমনকি ক্যান্সার আক্রান্ত শিক্ষার্থীর মানবিক আবেদন তিনি খুলে দেখার সময় পাননি। অথচ তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে আওয়ামী দোসরদের বসানোতে মনোনিবেশ করে আছেন। এই উপাচার্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কাজ হচ্ছে না। তিনি নিজেও ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে মরিয়া। আমরা তার পদত্যাগ চাই।

শিক্ষার্থী রাকিন খান বলেন, উপাচার্য বলেছেন মুচলেকা দিলে মামলা বা জিডি তোলা হবে। তার আহ্বানে কোনো শিক্ষার্থী সাড়া দেয়নি। মাসের ২৫ দিন তিনি ক্যাম্পাসে থাকেন না, ঢাকায় পড়ে থাকেন। আমাদের উপাচার্য ফ্যাসিবাদ বপন করছেন। যতদিন তিনি পদ ছেড়ে না যাবেন ততদিন আমরা আন্দোলন থেকে পিছু হটবো না।

অবস্থান কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান নিয়ে বিক্ষোভ করে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন।