London ০৬:৪৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পেঁয়াজ-সয়াবিন তেলের দামে বাজারে অস্বস্তি

অনলাইন ডেস্ক:

মাহে রমজানে পেঁয়াজের দাম সহনীয় থাকলেও ঈদ পরবর্তী বেড়েই যাচ্ছে দাম। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি প্রায় ২০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য এখন বাজারে বেশকিছু পণ্যের দাম অস্বস্তিদায়ক। হুট করে কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়ায় তাদের সংসার খরচ বেড়েছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এবার মৌসুমে বেশ কম দর ছিল পেঁয়াজের। ফলন ভালো হওয়ায় দেশি পেঁয়াজের কেজি সর্বনিম্ন ৩০ টাকায় নেমেছিল। এরপর কিছুটা বেড়ে ঈদের পরও ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে এখন দর উঠেছে ৬০-৬৫ টাকায়।

বিক্রেতারা বলেন, ঈদের পরে প্রায় প্রতিদিন পাইকারি বাজারে একটু একটু করে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। সব হিসাবে নিলে, গত দুই সপ্তাহে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ২০ টাকা বেড়েছে। এখন পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৮ টাকায়।

এছাড়া এ সপ্তাহে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে প্রতি লিটারে ১৪ টাকা। আর বেশ আগে থেকে চড়া রয়েছে চালের দাম। গত মঙ্গলবার থেকে বাজারে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা ও পাম তেলের দাম ১২ টাকা বেড়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ১৮৯ টাকা, যা আগে ছিল ১৭৫ টাকা। পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২২ টাকা, যা ছিল ৮৫২ টাকা।বোতলজাত তেলের পাশাপাশি খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের নতুন দাম হবে প্রতি লিটার ১৬৯ টাকা, যা ছিল ১৫৭ টাকা।

এদিকে বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা,  মুলা ৬০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, উচ্ছা  ৮০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতিকেজি ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৭০টাকায়, ধুন্দুল ১০০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, বেগুন (গোল) ১০০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৮০ টাকা, পটল৭০ টাকা, কচুর লতি  ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, পেঁপে  ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, জালি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, লাউ ৬০ টাকা,  কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, লেবু মানভেদে প্রতি হালি ২০ থেকে ৩০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৩৫ টাকা এবং গাজর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

এদিকে মে মাস থেকে ডিম-মুরগি উৎপাদন বন্ধ রাখার ঘোষণা তবে ঈদের আগে উত্তাপ ছড়ানো মুরগির বাজারে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে। সবজির বাজারও গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমতির দিকে রয়েছে। ডিমের দামও আগের মতো কম।

তবে বাজারে এখন মাংসের বাজারে অনেকটা স্বস্তি আছে। ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে বাড়তে থাকে মাংসের দাম। তখন প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা দরে। একইভাবে সোনালি জাতের মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা দরে। বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ এবং সোনালি জাতের মুরগি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বেশ কয়েক সপ্তাহ নিম্নমুখী ডিমের দরে তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দামে। মাসখানেক ধরেই এই দামের আশপাশে রয়েছে ডিমের দর।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০২:৪২:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
Translate »

পেঁয়াজ-সয়াবিন তেলের দামে বাজারে অস্বস্তি

আপডেট : ০২:৪২:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

মাহে রমজানে পেঁয়াজের দাম সহনীয় থাকলেও ঈদ পরবর্তী বেড়েই যাচ্ছে দাম। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি প্রায় ২০ টাকা বেড়েছে। বর্তমানে নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের জন্য এখন বাজারে বেশকিছু পণ্যের দাম অস্বস্তিদায়ক। হুট করে কয়েকটি পণ্যের দাম বাড়ায় তাদের সংসার খরচ বেড়েছে।

শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে এমন চিত্র দেখা গেছে।

এবার মৌসুমে বেশ কম দর ছিল পেঁয়াজের। ফলন ভালো হওয়ায় দেশি পেঁয়াজের কেজি সর্বনিম্ন ৩০ টাকায় নেমেছিল। এরপর কিছুটা বেড়ে ঈদের পরও ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তবে এখন দর উঠেছে ৬০-৬৫ টাকায়।

বিক্রেতারা বলেন, ঈদের পরে প্রায় প্রতিদিন পাইকারি বাজারে একটু একটু করে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। সব হিসাবে নিলে, গত দুই সপ্তাহে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ২০ টাকা বেড়েছে। এখন পাইকারি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৪ থেকে ৫৮ টাকায়।

এছাড়া এ সপ্তাহে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে প্রতি লিটারে ১৪ টাকা। আর বেশ আগে থেকে চড়া রয়েছে চালের দাম। গত মঙ্গলবার থেকে বাজারে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা ও পাম তেলের দাম ১২ টাকা বেড়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে খরচ করতে হচ্ছে ১৮৯ টাকা, যা আগে ছিল ১৭৫ টাকা। পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২২ টাকা, যা ছিল ৮৫২ টাকা।বোতলজাত তেলের পাশাপাশি খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের নতুন দাম হবে প্রতি লিটার ১৬৯ টাকা, যা ছিল ১৫৭ টাকা।

এদিকে বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা,  মুলা ৬০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, কাঁকরোল ১৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, উচ্ছা  ৮০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া প্রতিকেজি ঢ্যাঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৭০টাকায়, ধুন্দুল ১০০ টাকা, ঝিঙা ১০০ টাকা, বেগুন (গোল) ১০০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৮০ টাকা, পটল৭০ টাকা, কচুর লতি  ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১০০ টাকা, পেঁপে  ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, জালি প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, লাউ ৬০ টাকা,  কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকা, লেবু মানভেদে প্রতি হালি ২০ থেকে ৩০ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৩৫ টাকা এবং গাজর প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।

এদিকে মে মাস থেকে ডিম-মুরগি উৎপাদন বন্ধ রাখার ঘোষণা তবে ঈদের আগে উত্তাপ ছড়ানো মুরগির বাজারে অনেকটা স্বস্তি ফিরেছে। সবজির বাজারও গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমতির দিকে রয়েছে। ডিমের দামও আগের মতো কম।

তবে বাজারে এখন মাংসের বাজারে অনেকটা স্বস্তি আছে। ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে বাড়তে থাকে মাংসের দাম। তখন প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা দরে। একইভাবে সোনালি জাতের মুরগির কেজি বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা দরে। বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ এবং সোনালি জাতের মুরগি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বেশ কয়েক সপ্তাহ নিম্নমুখী ডিমের দরে তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দামে। মাসখানেক ধরেই এই দামের আশপাশে রয়েছে ডিমের দর।