দেশব্যাপী চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

দেশব্যাপী চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১২ জুলাই) বেলা ১১:৩০ মিনিটে সময়
সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদ এর উদ্যোগে সংগঠনের সভাপতি মোঃ সরকার আবির নেতৃত্বে দেশব্যাপী চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শহরের মুজিব সড়ক চৌরাস্তায় প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় সংগঠনের সহ সাংগঠনিক মোঃ ইমন হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মোঃ হৃদয় মাহমুদ অন্তর, প্রচার সম্পাদক আব্দুল মোমিন আকন্দ, অর্থ সম্পাদক মোঃ মোতালেব হোসেন, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখার সদস্য মোঃ নাসিম সরকারসহ সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বেলা ১১: ৪৫ মিনিটের সময় সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখা’র উদ্যোগে সভাপতি মোঃ ফয়সাল আহম্মেদ নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও বিচার বহির্ভূত হত্যার প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ গেট হতে এস এস রোড হয়ে বাজার স্টেশন পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখার সেক্রেটারি মোঃ মেহেদী হাসান, সিরাজগঞ্জ ইসলামিয়া সরকারি কলেজ শাখার সেক্রেটারি মোঃ নাজমুল হাসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সমন্বয়ক মুনতাসির মেহেদী, সংগঠক সেজান, ছাত্র প্রতিনিধি ইসলামিয়া সরকারি কলেজ সিরাজগঞ্জ মোঃ মোতালেব সরকারসহ প্রমুখ।
বেলা ১টার সময় সিরাজগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট শাখা ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে সভাপতি মোঃ হাবিবুর রহমান এর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল প্রতিষ্ঠানের সামনে হতে শুরু করে ফকিরতলা মোড় হয়ে পুনরায় উৎপত্তিস্থলে এসে শেষ হয়। এসময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে মোঃ নিলয় পারভেজ নীরব, মোঃ আশিক, মোঃ সাইমুন ইসলাম, তানভীর আলম মুগ্ধ সহ বিভিন্ন সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বক্তব্যে বর্তমান সময়ে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের দ্বারা বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এমনকি হত্যার মতো ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন। ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে যুবদল নেতা কর্তৃক ব্যবসায়ী সোহাগকে পাথর নিক্ষেপ করে মেরে ফেলে হত্যাকারীদের সমালোচনা করেন। জুলাই অভ্যুত্থানের ধরনের কর্মকাণ্ড কোন ভাবে মেনে নেওয়া যায় না। বিগত শেখ হাসিনার আমলের মতো পুনরাবৃত্তির ঘটনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যা ছাত্র জনতা কখনো মেনে নেবে না। প্রয়োজনে তারা আবারো রাজপথে নামতে প্রস্তুত রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকরী কোন উদ্যোগ গ্রহণ না করার জন্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এজন্য সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
বিভিন্ন মিছিলে স্লোগান ছিল আমার ভাই মরল কেন তারেক জিয়া, খালেদা জিয়া জবাবদে, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নামে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা বলেন এবং আসামিদের প্রকাশ্য ও দ্রুত বিচার দাবি এবং প্রশাসনকে কঠোর হস্তে দমন করার নির্দেশ দেন।