London ০৮:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
রাণীনগরে মৌসুমী সমৃদ্ধির দিনভর নানা উন্নয়নমূলক কর্মসূচি কসবায় হেফাজতের নেতৃবৃন্দের সাথে কসবা-আখাউড়া এমপি পদপ্রার্থী প্রভাষক কাজী মঈনুদ্দিনের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মত বিনিময় সিরাজগঞ্জে পলিথিনে মোড়ানো বস্তুয় অর্ধগলিত নবজাতক শিশুর মরা দেহ উদ্ধার কালিয়াকৈরে দোকানে মালামাল ও নগদ টাকা চুরি কসবায় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এমপি প্রার্থী প্রভাষক কাজী মোঃ মাঈনুদ্দিনের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে স্কুল শিক্ষিকা ও চাঁদাবাজদের মাধ্যমে পরিকল্পিত অপপ্রচার রাজশাহীতে হিমাগারের ভাড়া কমালো কালিয়াকৈরে উপজেলা ও পৌর বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত সেই কথিত যুবদল নেতা আবার চাঁদাবাজি করতে গিয়ে জনতার হাতে আটক। নীরব পুলিশ! রাজশাহীতে করোনা সনাক্ত

দর্শনার্থীর জ্যাকেটে লুকিয়ে পালাল চিড়িয়াখানার বাদুড় 

প্রতীকী ছবি

বন্দী হয়ে কে বা থাকতে চায়! মুক্ত–স্বাধীন জীবনই সবার কাম্য। জার্মানির একটি চিড়িয়াখানার ছোট্ট একটি বাদুড়ও সম্ভবত বন্দিদশায় আর থাকতে চায়নি। তবে যে উপায়ে প্রাণীটি চিড়িয়াখানা থেকে পালিয়েছে, তা রীতিমতো খবরের শিরোনাম হয়েছে।

ছোট্ট ওই বাদুড় জার্মানির দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের কার্লসরুয়া চিড়িয়াখানায়। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চলতি অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ওই চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গিয়েছিলেন এলিনা ফেল। তাঁর জ্যাকেটের ভেতর ঢুকে পড়েছিল বাদুড়টি। বাড়িতে ফেরার পর প্রাণটির হদিস পান এলিনা।

জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিপিএর তথ্য বলছে, ৩০ বছর বয়সী এলিনা পেশায় শিক্ষক। তিনি তাঁর ছোট ছেলেকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় বাদুড়ের গুহার ভেতর ঢুকেছিলেন। বাড়িতে ফেরার পর নিজের জ্যাকেট খুলে যা দেখতে পান, তার জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না এলিনা। জ্যাকেটটি খোলার সঙ্গে সঙ্গে ছোট্ট একটি বাদুড় টুপ করে মেঝেতে পড়ে।

এলিনা বলেন, কখন বাদুড়টি তাঁর পোশাক আঁকড়ে ধরে লুকিয়ে পড়েছে, সে বিষয়ে বিন্দুবিসর্গ জানতেন না তিনি। বরং জ্যাকেট থেকে কিছু একটা খসে পড়তে দেখে তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন হ্যালোউইন উদ্‌যাপন করতে গিয়ে তাঁর স্বামী তাঁর সঙ্গে মজা করে কিছু একটা করেছেন। কিন্তু কাছে গিয়ে দেখতে পান, সেটি সত্যিকারের একটি প্রাণী। সেটিকে দেখে তিনি ভয় পেয়ে যান। তিনি ভেবেছিলেন, বাদুড়টি মারা গেছে। কিন্তু প্রাণীটি নড়ে ওঠে। এমনকি তাঁর হাতে ছোট্ট করে কামড়ও দেয়। ঘটনার আকস্মিকতায় প্রথমে খানিকটা হতবিহ্বল হয়ে পড়লেও নিজেকে সামলে নেন এলিনা।

বাদুড়ের বিষয়ে জানতে একজন প্রাণিবিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এলিনা। তাঁর পরামর্শে ছোট্ট বাদুড়টিকে একটি বাক্সের ভেতর ভরে রাখেন। সেটিকে খেতে দেন মধু মেশানো পানি ও কলা। রাতভর বাদুড়টি বাক্সের ভেতরই থাকে। সেটি যেন খাবার পায় এবং কোনো ধরনের অস্বস্তিতে না পড়ে, তা খেয়াল রাখেন এলিনা। সকালে তাঁর স্বামী ও ছেলে বাদুড়টিকে চিড়িয়াখানায় নিয়ে যান। চিড়িয়াখানার এক মুখপাত্র বলেন, পাতার মতো দেখতে নাকের অধিকারী (লিফ–নোজড) বাদুড়টি নিজের গুহায় ফিরে গেছে এবং ভালো আছে।

চিড়িয়াখানার ওই মুখপাত্র আরও বলেন, চিড়িয়াখানাটি থেকে এই প্রথম কোনো বাদুড়ের দর্শনার্থীর সঙ্গে এত দূর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটল।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৩:৪০:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
৪৯
Translate »

দর্শনার্থীর জ্যাকেটে লুকিয়ে পালাল চিড়িয়াখানার বাদুড় 

আপডেট : ০৩:৪০:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪

প্রতীকী ছবি

বন্দী হয়ে কে বা থাকতে চায়! মুক্ত–স্বাধীন জীবনই সবার কাম্য। জার্মানির একটি চিড়িয়াখানার ছোট্ট একটি বাদুড়ও সম্ভবত বন্দিদশায় আর থাকতে চায়নি। তবে যে উপায়ে প্রাণীটি চিড়িয়াখানা থেকে পালিয়েছে, তা রীতিমতো খবরের শিরোনাম হয়েছে।

ছোট্ট ওই বাদুড় জার্মানির দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের কার্লসরুয়া চিড়িয়াখানায়। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে চলতি অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ওই চিড়িয়াখানায় ঘুরতে গিয়েছিলেন এলিনা ফেল। তাঁর জ্যাকেটের ভেতর ঢুকে পড়েছিল বাদুড়টি। বাড়িতে ফেরার পর প্রাণটির হদিস পান এলিনা।

জার্মান সংবাদ সংস্থা ডিপিএর তথ্য বলছে, ৩০ বছর বয়সী এলিনা পেশায় শিক্ষক। তিনি তাঁর ছোট ছেলেকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় বাদুড়ের গুহার ভেতর ঢুকেছিলেন। বাড়িতে ফেরার পর নিজের জ্যাকেট খুলে যা দেখতে পান, তার জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না এলিনা। জ্যাকেটটি খোলার সঙ্গে সঙ্গে ছোট্ট একটি বাদুড় টুপ করে মেঝেতে পড়ে।

এলিনা বলেন, কখন বাদুড়টি তাঁর পোশাক আঁকড়ে ধরে লুকিয়ে পড়েছে, সে বিষয়ে বিন্দুবিসর্গ জানতেন না তিনি। বরং জ্যাকেট থেকে কিছু একটা খসে পড়তে দেখে তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন হ্যালোউইন উদ্‌যাপন করতে গিয়ে তাঁর স্বামী তাঁর সঙ্গে মজা করে কিছু একটা করেছেন। কিন্তু কাছে গিয়ে দেখতে পান, সেটি সত্যিকারের একটি প্রাণী। সেটিকে দেখে তিনি ভয় পেয়ে যান। তিনি ভেবেছিলেন, বাদুড়টি মারা গেছে। কিন্তু প্রাণীটি নড়ে ওঠে। এমনকি তাঁর হাতে ছোট্ট করে কামড়ও দেয়। ঘটনার আকস্মিকতায় প্রথমে খানিকটা হতবিহ্বল হয়ে পড়লেও নিজেকে সামলে নেন এলিনা।

বাদুড়ের বিষয়ে জানতে একজন প্রাণিবিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এলিনা। তাঁর পরামর্শে ছোট্ট বাদুড়টিকে একটি বাক্সের ভেতর ভরে রাখেন। সেটিকে খেতে দেন মধু মেশানো পানি ও কলা। রাতভর বাদুড়টি বাক্সের ভেতরই থাকে। সেটি যেন খাবার পায় এবং কোনো ধরনের অস্বস্তিতে না পড়ে, তা খেয়াল রাখেন এলিনা। সকালে তাঁর স্বামী ও ছেলে বাদুড়টিকে চিড়িয়াখানায় নিয়ে যান। চিড়িয়াখানার এক মুখপাত্র বলেন, পাতার মতো দেখতে নাকের অধিকারী (লিফ–নোজড) বাদুড়টি নিজের গুহায় ফিরে গেছে এবং ভালো আছে।

চিড়িয়াখানার ওই মুখপাত্র আরও বলেন, চিড়িয়াখানাটি থেকে এই প্রথম কোনো বাদুড়ের দর্শনার্থীর সঙ্গে এত দূর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটল।