London ১০:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ১০ গুণীজন মেডিকেলে ভর্তির টাকা এখনো জোগাড় হয়নি ইমার যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেশার কুকারে রান্না করলেন সাবেক সৈনিক খোলাবাজার থেকে ১০ হাজার বিনামূল্যের পাঠ্যবই জব্দ, গ্রেপ্তার ২ শেরপুরে মাধ্যমিকের ৯ হাজার সরকারি বই জব্দ! আটক ১ মেডিকেলে চান্স পেয়েও অর্থের অভাবে ডাক্তারী লেখা পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রান্তি ও পরিবার খাগড়াছড়িতে একক আধিপত্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার, গড়েছেন হাজার কোটি টাকার সম্পদ নোয়াখালীতে শর্টসার্কিটের আগুনে পুড়ে ছাই ১১ দোকান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন উন্নত হচ্ছে : ইসি মাছউদ

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বাশার আল-আসাদের স্ত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আ-আসাদের স্ত্রী আসমা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। তার শরীরে আবারও রক্তের ক্যানসার ফিরে এসেছে। এ মুহূর্তে তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে আসমা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। একবছর চিকিৎসা শেষে তিনি সুস্থ হন। কিন্তু চলতি বছরের মে মাসে রক্তের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তিনি। রাশিয়ায় চিকিৎসা শেষে সুস্থ হলেও শরীরে আবারও ক্যানসার ফিরে এসেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে টেলিগ্রাফকে একটি সূত্র বলেছে, আসমা মারা যাচ্ছেন। অপর একটি সূত্র বলেছে, তার বেচে থাকার সম্ভাবনা মাত্র ৫০ শতাংশ। শারীরিক অবস্থা যেন আরও খারাপ না হয় সেজন্য তিনি আলাদা থাকছেন বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

গত ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীরা সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করার পর দেশ ছেড়ে পালান বাশার আল-আসাদ। তবে অসুস্থ থাকায় আসমা আগে থেকেই মস্কোতে অবস্থান করছিলেন।

কয়েকদিন আগে খবর চাউর হয় আসমা বাশারকে ডিভোর্স দিয়ে নিজের জন্মস্থান যুক্তরাজ্যে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তবে পরবর্তীতে রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই তথ্য গুজব। আর এখন জানা গেল আসমা গুরুতর অসুস্থ।

যুক্তরাজ্যে সিরীয় বাবা-মায়ের ঘরে ১৯৭৫ সালে জন্ম হয় আসমার। তিনি ২০০০ সালে বাশারকে বিয়ে করেন। হাফেজ, জেইন এবং করিম নামে তাদের তিন সন্তান রয়েছে।

বাশার আল-আসাদ দীর্ঘ ২৪ বছর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০১১ সালে আরব বসন্তের সময় দেশটিতে তার বিরুদ্ধে শান্তিপ্রিয় বিক্ষোভ শুরু হয়। কিন্তু ওই বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বল প্রয়োগ করেন তিনি। এরপর শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। গত ৮ ডিসেম্বর তার পতনের মাধ্যমে গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। তবে এরমাঝে প্রাণ হারান ৫ লাখ সিরীয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৫:৫০:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
১৫
Translate »

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বাশার আল-আসাদের স্ত্রী

আপডেট : ০৫:৫০:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আ-আসাদের স্ত্রী আসমা জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। তার শরীরে আবারও রক্তের ক্যানসার ফিরে এসেছে। এ মুহূর্তে তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে আসমা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। একবছর চিকিৎসা শেষে তিনি সুস্থ হন। কিন্তু চলতি বছরের মে মাসে রক্তের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তিনি। রাশিয়ায় চিকিৎসা শেষে সুস্থ হলেও শরীরে আবারও ক্যানসার ফিরে এসেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে টেলিগ্রাফকে একটি সূত্র বলেছে, আসমা মারা যাচ্ছেন। অপর একটি সূত্র বলেছে, তার বেচে থাকার সম্ভাবনা মাত্র ৫০ শতাংশ। শারীরিক অবস্থা যেন আরও খারাপ না হয় সেজন্য তিনি আলাদা থাকছেন বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

গত ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহীরা সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে প্রবেশ করার পর দেশ ছেড়ে পালান বাশার আল-আসাদ। তবে অসুস্থ থাকায় আসমা আগে থেকেই মস্কোতে অবস্থান করছিলেন।

কয়েকদিন আগে খবর চাউর হয় আসমা বাশারকে ডিভোর্স দিয়ে নিজের জন্মস্থান যুক্তরাজ্যে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। তবে পরবর্তীতে রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই তথ্য গুজব। আর এখন জানা গেল আসমা গুরুতর অসুস্থ।

যুক্তরাজ্যে সিরীয় বাবা-মায়ের ঘরে ১৯৭৫ সালে জন্ম হয় আসমার। তিনি ২০০০ সালে বাশারকে বিয়ে করেন। হাফেজ, জেইন এবং করিম নামে তাদের তিন সন্তান রয়েছে।

বাশার আল-আসাদ দীর্ঘ ২৪ বছর সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০১১ সালে আরব বসন্তের সময় দেশটিতে তার বিরুদ্ধে শান্তিপ্রিয় বিক্ষোভ শুরু হয়। কিন্তু ওই বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক বল প্রয়োগ করেন তিনি। এরপর শুরু হয় গৃহযুদ্ধ। গত ৮ ডিসেম্বর তার পতনের মাধ্যমে গৃহযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। তবে এরমাঝে প্রাণ হারান ৫ লাখ সিরীয়।