London ১১:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেলেন ১০ গুণীজন মেডিকেলে ভর্তির টাকা এখনো জোগাড় হয়নি ইমার যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেশার কুকারে রান্না করলেন সাবেক সৈনিক খোলাবাজার থেকে ১০ হাজার বিনামূল্যের পাঠ্যবই জব্দ, গ্রেপ্তার ২ শেরপুরে মাধ্যমিকের ৯ হাজার সরকারি বই জব্দ! আটক ১ মেডিকেলে চান্স পেয়েও অর্থের অভাবে ডাক্তারী লেখা পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রান্তি ও পরিবার খাগড়াছড়িতে একক আধিপত্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার, গড়েছেন হাজার কোটি টাকার সম্পদ নোয়াখালীতে শর্টসার্কিটের আগুনে পুড়ে ছাই ১১ দোকান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন উন্নত হচ্ছে : ইসি মাছউদ

জার্মানি বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ইউরো দেবে: রিজওয়ানা হাসান

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের উন্নয়নে জার্মানি আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ইউরো দেবে। এ অর্থের মধ্যে এ বছরের এক কোটি ৫০ লাখ ইউরো রয়েছে। খবর বাসসের

পরিবেশ উপদেষ্টা বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রস্টারের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে বৈঠক করেন। পরে উপদেষ্টা এ কথা জানান। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

উপদেষ্টা বলেন, উভয় দেশ বেসরকারি খাত, গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ও সুশীল সমাজের মতো শক্তিগুলোর সঙ্গে জ্ঞান বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদার করবে।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, এই সহযোগিতায় ক্ষুদ্র জাতিগত সংখ্যালঘু, নারী ও যুবকদেরও সম্পৃক্ত করা হবে। তিনি পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ে জার্মানির অব্যাহত সহায়তার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু চ্যালেঞ্জ এবং টেকসই বন ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশকে সমর্থনে জার্মানির প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন এবং পরিবেশ রক্ষায় সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে জার্মানির দক্ষতার কথাও তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের সবুজ জ্বালানি উদ্যোগের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রস্তাব দেন।

বৈঠকে উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রদূত পরিবেশ সুরক্ষা, নদী পরিচ্ছন্নতা প্রকল্প এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন।

তাঁরা টেকসই উন্নয়ন প্রকল্পে সম্ভাব্য সহযোগিতা, পরিবেশ ও জলবায়ু সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবুজ প্রযুক্তি গ্রহণের বিষয়েও আলোচনা করেন।

বিশেষ করে প্রযুক্তি স্থানান্তর ও পরিবেশগত স্থায়িত্ব প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য আরও উপায় অন্বেষণে একটি পারস্পরিক চুক্তির মধ্য দিয়ে বৈঠক শেষ হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০১:৫১:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৬৩
Translate »

জার্মানি বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ইউরো দেবে: রিজওয়ানা হাসান

আপডেট : ০১:৫১:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের উন্নয়নে জার্মানি আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ইউরো দেবে। এ অর্থের মধ্যে এ বছরের এক কোটি ৫০ লাখ ইউরো রয়েছে। খবর বাসসের

পরিবেশ উপদেষ্টা বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রস্টারের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের কার্যালয়ে বৈঠক করেন। পরে উপদেষ্টা এ কথা জানান। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

উপদেষ্টা বলেন, উভয় দেশ বেসরকারি খাত, গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ও সুশীল সমাজের মতো শক্তিগুলোর সঙ্গে জ্ঞান বিনিময় ও সহযোগিতা জোরদার করবে।

রিজওয়ানা হাসান বলেন, এই সহযোগিতায় ক্ষুদ্র জাতিগত সংখ্যালঘু, নারী ও যুবকদেরও সম্পৃক্ত করা হবে। তিনি পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ে জার্মানির অব্যাহত সহায়তার জন্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান। বিশ্বব্যাপী জলবায়ু চ্যালেঞ্জ এবং টেকসই বন ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন তিনি।

রাষ্ট্রদূত জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশকে সমর্থনে জার্মানির প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন এবং পরিবেশ রক্ষায় সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে জার্মানির দক্ষতার কথাও তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের সবুজ জ্বালানি উদ্যোগের ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রস্তাব দেন।

বৈঠকে উপদেষ্টা এবং রাষ্ট্রদূত পরিবেশ সুরক্ষা, নদী পরিচ্ছন্নতা প্রকল্প এবং জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন।

তাঁরা টেকসই উন্নয়ন প্রকল্পে সম্ভাব্য সহযোগিতা, পরিবেশ ও জলবায়ু সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবুজ প্রযুক্তি গ্রহণের বিষয়েও আলোচনা করেন।

বিশেষ করে প্রযুক্তি স্থানান্তর ও পরিবেশগত স্থায়িত্ব প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য আরও উপায় অন্বেষণে একটি পারস্পরিক চুক্তির মধ্য দিয়ে বৈঠক শেষ হয়।