London ০৫:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে ট্যাংকারে আগুনে নিহত ১, উদ্ধার ৪৭, নাশকতা বলে সন্দেহ

এমটি বাংলার সৌরভ ট্যাংকারে আগুনছবি ভিডিও থেকে নেওয়া

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ‘এমটি বাংলার সৌরভ’ নামের ট্যাংকারে গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতের আগুনে একজনের মৃত্যু হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৪৭ নাবিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে।

এমটি বাংলার সৌরভে দুর্ঘটনায় নিহতের নাম সাদেক মিয়া (৫৯)। তাঁর বাড়ি নোয়াখালীতে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মাহমুদুল মালেক ট্যাংকার দুর্ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। আজ শনিবার সকালে বিএসসির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে নাশকতা হিসেবে সন্দেহ করছেন বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার আগে একটি নৌযান ট্যাংকারটির পাশ দিয়ে ছুটে যায়। এরপরই চারটি জায়গায় স্ফুলিঙ্গ হয়। অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত যেভাবে হয়েছে, তাতে নাশকতার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ঘটনা তদন্ত করতে আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গত সোমবার বন্দরের ডলফিন অয়েল জেটিতে নোঙর করে রাখা বিএসসির আরেকটি ট্যাংকার এমটি বাংলার জ্যোতিতে বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হয়েছিলেন। এ নিয়ে পাঁচ দিনের ব্যবধানে দুটি অগ্নিকাণ্ডে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

কমোডর মাহমুদুল মালেক বলেন, দুটি ট্যাংকারই জ্বালানি তেল পরিবহনের কাজ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এমটি বাংলার সৌরভের এটি ছিল শেষবারের মতো জ্বালানি তেল পরিবহন। দুর্ঘটনার সময় ট্যাংকারটিতে ১১ হাজার টন জ্বালানি তেল ছিল। আজ ট্যাংকারটি বন্দরের ডলফিন অয়েল জেটিতে নিয়ে তেল খালাস করার কথা ছিল। তার আগেই গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ট্যাংকারটির ডেকে চারটি জায়গায় স্ফুলিঙ্গ দেখা যায়। এরপরই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মাহমুদুল মালেক আরও বলেন, দুর্ঘটনার পর নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বন্দরের টাগবোট দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের কারণে ৪৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ট্যাংকারের যেখানে জ্বালানি তেল রয়েছে, সেখানে আগুন লাগেনি। এখন ট্যাংকারটি থেকে জ্বালানি তেল স্থানান্তর করে কীভাবে উদ্ধার করা যায়, সে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৯:৫৬:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪
৪৬
Translate »

চট্টগ্রামে ট্যাংকারে আগুনে নিহত ১, উদ্ধার ৪৭, নাশকতা বলে সন্দেহ

আপডেট : ০৯:৫৬:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

এমটি বাংলার সৌরভ ট্যাংকারে আগুনছবি ভিডিও থেকে নেওয়া

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) ‘এমটি বাংলার সৌরভ’ নামের ট্যাংকারে গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতের আগুনে একজনের মৃত্যু হয়েছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৪৭ নাবিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে।

এমটি বাংলার সৌরভে দুর্ঘটনায় নিহতের নাম সাদেক মিয়া (৫৯)। তাঁর বাড়ি নোয়াখালীতে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মাহমুদুল মালেক ট্যাংকার দুর্ঘটনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। আজ শনিবার সকালে বিএসসির কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে নাশকতা হিসেবে সন্দেহ করছেন বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি বলেন, দুর্ঘটনার আগে একটি নৌযান ট্যাংকারটির পাশ দিয়ে ছুটে যায়। এরপরই চারটি জায়গায় স্ফুলিঙ্গ হয়। অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত যেভাবে হয়েছে, তাতে নাশকতার বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ঘটনা তদন্ত করতে আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গত সোমবার বন্দরের ডলফিন অয়েল জেটিতে নোঙর করে রাখা বিএসসির আরেকটি ট্যাংকার এমটি বাংলার জ্যোতিতে বিস্ফোরণ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হয়েছিলেন। এ নিয়ে পাঁচ দিনের ব্যবধানে দুটি অগ্নিকাণ্ডে চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

কমোডর মাহমুদুল মালেক বলেন, দুটি ট্যাংকারই জ্বালানি তেল পরিবহনের কাজ থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এমটি বাংলার সৌরভের এটি ছিল শেষবারের মতো জ্বালানি তেল পরিবহন। দুর্ঘটনার সময় ট্যাংকারটিতে ১১ হাজার টন জ্বালানি তেল ছিল। আজ ট্যাংকারটি বন্দরের ডলফিন অয়েল জেটিতে নিয়ে তেল খালাস করার কথা ছিল। তার আগেই গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ট্যাংকারটির ডেকে চারটি জায়গায় স্ফুলিঙ্গ দেখা যায়। এরপরই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর মাহমুদুল মালেক আরও বলেন, দুর্ঘটনার পর নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বন্দরের টাগবোট দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার অভিযান শুরু করে। তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের কারণে ৪৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ট্যাংকারের যেখানে জ্বালানি তেল রয়েছে, সেখানে আগুন লাগেনি। এখন ট্যাংকারটি থেকে জ্বালানি তেল স্থানান্তর করে কীভাবে উদ্ধার করা যায়, সে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানান।