London ০৭:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
নাহিদ ইসলাম এক দলকে সরিয়ে আরেক দলকে ক্ষমতায় বসাতে অভ্যুত্থান হয়নি শ্যামনগরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত, কিশোরের অবস্থা আশঙ্কাজনক মনগড়া লোডশেডিংয়ে, চরম বিপাকে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন কালকিনিতে মুক্তিযোদ্ধা দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ৮ অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টির আভাস রোববার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা কারিগরি শিক্ষার্থীদের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন করবে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী ৪ নারী খেলোয়াড় কালই বুঝতে পারবেন-কী করতে পারি

গণমাধ্যমে ব্যাপক পরিবর্তন কে কোথায় গেল?

অনলাইন ডেস্ক

৩৬ জুলাইয়ের পট পরিবর্তনের পর গণমাধ্যমেও বড় ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। এ পর্যন্ত দুই ডজনেরও বেশি গণমাধ্যমকর্র্মীকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। কমপক্ষে আটটি সংবাদপত্রের সম্পাদক এবং ১১টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বার্তা প্রধানকে বরখাস্ত করা হয়েছে বা ‘পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে’। আবার কেউ কেউ সরকার পরিবর্তনের পরপরই নিজ থেকেই চাকরি থেকে সরে গেছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমের নির্বাহী সম্পাদক, প্রধান বার্তা সম্পাদক এবং বার্তা সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাদের পরিবর্তে এসব পদে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি এবং জামায়াত বিট করা সাংবাদিকদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বর্তমান ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখা গণমাধ্যম মালিকদের প্রতিষ্ঠানে এসব পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক চাকরি হারিয়েছেন। অনেকের বিরুদ্ধে হাসিনা সরকারকে উৎখাতে পরিচালিত গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা চলমান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও তদন্ত করছে। টিভি ও রেডিও সাংবাদিকদের সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের জরিপে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে সম্প্রচার সাংবাদিকের চাকরি হারানোর সংখ্যা ১৫০ জনের বেশি। যাদের বেশিরভাগই ৫ই আগস্টের পর চাকরি হারিয়েছেন। সরকারের পতনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া এবং রাজশাহীতে ১২১ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ২৯টি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়াও তথ্য মন্ত্রণালয় অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে ১৬৭ জন সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করে দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১০:৫৭:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
২৫
Translate »

গণমাধ্যমে ব্যাপক পরিবর্তন কে কোথায় গেল?

আপডেট : ১০:৫৭:২৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

৩৬ জুলাইয়ের পট পরিবর্তনের পর গণমাধ্যমেও বড় ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। এ পর্যন্ত দুই ডজনেরও বেশি গণমাধ্যমকর্র্মীকে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। কমপক্ষে আটটি সংবাদপত্রের সম্পাদক এবং ১১টি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের বার্তা প্রধানকে বরখাস্ত করা হয়েছে বা ‘পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে’। আবার কেউ কেউ সরকার পরিবর্তনের পরপরই নিজ থেকেই চাকরি থেকে সরে গেছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমের নির্বাহী সম্পাদক, প্রধান বার্তা সম্পাদক এবং বার্তা সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাদের পরিবর্তে এসব পদে দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি এবং জামায়াত বিট করা সাংবাদিকদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বর্তমান ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখা গণমাধ্যম মালিকদের প্রতিষ্ঠানে এসব পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। অন্তত ৩০ জন সাংবাদিক চাকরি হারিয়েছেন। অনেকের বিরুদ্ধে হাসিনা সরকারকে উৎখাতে পরিচালিত গণ-অভ্যুত্থানের সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মামলা চলমান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টও তদন্ত করছে। টিভি ও রেডিও সাংবাদিকদের সংগঠন ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের জরিপে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে সম্প্রচার সাংবাদিকের চাকরি হারানোর সংখ্যা ১৫০ জনের বেশি। যাদের বেশিরভাগই ৫ই আগস্টের পর চাকরি হারিয়েছেন। সরকারের পতনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া এবং রাজশাহীতে ১২১ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ২৯টি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ছাড়াও তথ্য মন্ত্রণালয় অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে ১৬৭ জন সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করে দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়।