খুলনার কয়রা উপজেলা বিএনপি’র সদস্যসচিব নুরুল আমিন বাবুলকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অপরাধে বহিষ্কার করা হয়। শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাতে একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কয়রা থানার ওসি শাহ আলম। 

তিনি জানান, কয়রা বাজারের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় সদস্যসচিব নুরুল আমিন বাবুলসহ ১৩ জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়। মামলার পর তিনি পলাতক ছিলেন। এ অবস্থায় খুলনা নগরীর বয়রা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

এদিকে শুক্রবার রাতে কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কয়রা বিএনপির সদস্যসচিব নুরুল আমিন বাবুলকে বহিষ্কার করা হয়। এতে জানানো হয়, দলের শৃঙ্খলা ভঙ্গ, সহিংস কর্মকাণ্ড এবং দলের নীতি আদর্শ ও সংহতিপরিপন্থী অনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত থাকায় তাকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার কয়রা কপোতাক্ষ কলেজের সামনে অবস্থিত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট চালানো হয়। এ সময় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক মনিরুজ্জামানসহ ৫ জন আহত হন। পরে এ ঘটনায় মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে কয়রা থানায় মামলা করেন। মামলায় কয়রা উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব নুরুল আমিন বাবুলকে প্রধান আসামি করে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহতাসিম বিল্লাহসহ ১৩ জনের নাম এজাহারভুক্ত করা হয়েছে।  

কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম জানিয়েছেন, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপি নেতা বাবুলকে শনিবার রাতে খুলনা শহরের একটি বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ রোববার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।  

এ বিষয়ে জানতে কয়রা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলামকে ফোন দিলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।