London ১১:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ কোন পথে’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত নেত্রকোনা সীমান্তে টংক আন্দোলনের নেত্রী রাশি মণি’র হাজংয়ের ৭৯তম প্রয়াণ দিবস পালিত ফরিদপুরে রিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে চালককে হত্যা বিয়ে করলেন সারজিস আলম টিকটকে আসক্ত মেয়েকে গুলি করে হত্যা উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ প্লে-অফেই রিয়াল-সিটি লড়াই, বাকি ম্যাচে কে কার প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ কোনো প্রোগ্রাম করার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের মঞ্চে কোমর ধরে তরুণীকে কাছে টেনে ফ্লার্টিং শাহরুখের! ভিডিও ভাইরাল ১৪ সেকেন্ডের দুষ্টু ভঙ্গির ভিডিওতে ঝড় তুললেন পরীমণি!

কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন তিনি এক ফেব্রুয়ারি থেকে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত পণ্যে ২৫ শতাংশ সীমান্ত কর আরোপ করবেন। এবার তা বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে আগামীকাল শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। তবে কোন কোন পণ্যে শুল্ক আরোপ করা হবে তা এখনো নিশ্চিত করেননি নবনির্বাচিত মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্প জানিয়েছেন তাঁর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে কারণ ছিল বিপুল পরিমাণে অবৈধ অভিবাসী প্রবেশ রোধ করা। এর পাশাপাশি মার্কিন সীমান্ত পেরিয়ে আসা ফেন্টানাইল ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি মোকাবিলা করা।

কানাডা ও মেক্সিকো জানিয়েছে, তারা মার্কিন শুল্কের জবাবে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। একই সঙ্গে ওয়াশিংটনকে জানিয়েছে তারা মার্কিন সীমান্ত সম্পর্কে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে তা দূর করার জন্য পদক্ষেপ নেবে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যদি কানাডা ও মেক্সিকো থেকে তেল আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আরোপ কার্যকর করে তাহলে জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো ট্রাম্পের জন্য কঠিন হবে।

সাংবাদিকদের সাথে আলাপের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন তিনি এখন চীনের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন এবং এটি প্রক্রিয়াধীন। এ ব্যাপারে তিনি জানুয়ারি মাসের শুরুতে বলেছিলেন চীনের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। তবে কোন কোন পণ্যে শুল্ক আরোপ করা হবে তার বিস্তারিত বিবরণ দেননি।

এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনি প্রচারণার সময় বলেছেন চীনা তৈরি পণ্যের ওপর তিনি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করবেন। কিন্তু হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দিনেই তাৎক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ নেননি। বরং প্রশাসনকে এ বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

২০১৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চীন থেকে পণ্য আমদানি কমে গেছে। অর্থনীতিবিদরা এর কারণ হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে আরোপিত একাধিক পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন।

সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে ভাষণ দেওয়ার সময় চীনের ভাইস প্রিমিয়ার ডিং জুয়েক্সিয়াং বলেছিলেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য উত্তেজনার উপযুক্ত সমাধান চায় এবং তাদের রপ্তানি সম্প্রসারণ করতে চায়।

শুল্ক হলো বিদেশে উৎপাদিত পণ্যের ওপর একটি আমদানি কর। এটি আরোপ হলে কোনো দেশ থেকে আসা পণ্য কেনার সম্ভাবনা কমে যায় এবং কর আরোপিত পণ্য আরও ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে।

কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত জ্বালানি তেলের ওপর শুল্ক আরোপ হলে খুচরা ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়বে। পেট্রোল থেকে শুরু করে সব ধরনের তেলের দাম আরও বৃদ্ধি পাবে। কেননা, মার্কিন তেল আমদানিকারকরা যে অপরিশোধিত তেল সরবরাহ করে তার প্রায় ৪০ শতাংশ আমদানি করা হয়। এর বেশিরভাগই আসে কানাডা থেকে।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১২:৪০:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
Translate »

কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের

আপডেট : ১২:৪০:৫৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন তিনি এক ফেব্রুয়ারি থেকে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত পণ্যে ২৫ শতাংশ সীমান্ত কর আরোপ করবেন। এবার তা বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে আগামীকাল শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। তবে কোন কোন পণ্যে শুল্ক আরোপ করা হবে তা এখনো নিশ্চিত করেননি নবনির্বাচিত মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় ট্রাম্প জানিয়েছেন তাঁর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে কারণ ছিল বিপুল পরিমাণে অবৈধ অভিবাসী প্রবেশ রোধ করা। এর পাশাপাশি মার্কিন সীমান্ত পেরিয়ে আসা ফেন্টানাইল ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি মোকাবিলা করা।

কানাডা ও মেক্সিকো জানিয়েছে, তারা মার্কিন শুল্কের জবাবে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। একই সঙ্গে ওয়াশিংটনকে জানিয়েছে তারা মার্কিন সীমান্ত সম্পর্কে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে তা দূর করার জন্য পদক্ষেপ নেবে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যদি কানাডা ও মেক্সিকো থেকে তেল আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আরোপ কার্যকর করে তাহলে জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো ট্রাম্পের জন্য কঠিন হবে।

সাংবাদিকদের সাথে আলাপের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন তিনি এখন চীনের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করছেন এবং এটি প্রক্রিয়াধীন। এ ব্যাপারে তিনি জানুয়ারি মাসের শুরুতে বলেছিলেন চীনের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। তবে কোন কোন পণ্যে শুল্ক আরোপ করা হবে তার বিস্তারিত বিবরণ দেননি।

এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনি প্রচারণার সময় বলেছেন চীনা তৈরি পণ্যের ওপর তিনি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করবেন। কিন্তু হোয়াইট হাউসে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম দিনেই তাৎক্ষণিক কোনো পদক্ষেপ নেননি। বরং প্রশাসনকে এ বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

২০১৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চীন থেকে পণ্য আমদানি কমে গেছে। অর্থনীতিবিদরা এর কারণ হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে আরোপিত একাধিক পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন।

সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে ভাষণ দেওয়ার সময় চীনের ভাইস প্রিমিয়ার ডিং জুয়েক্সিয়াং বলেছিলেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাণিজ্য উত্তেজনার উপযুক্ত সমাধান চায় এবং তাদের রপ্তানি সম্প্রসারণ করতে চায়।

শুল্ক হলো বিদেশে উৎপাদিত পণ্যের ওপর একটি আমদানি কর। এটি আরোপ হলে কোনো দেশ থেকে আসা পণ্য কেনার সম্ভাবনা কমে যায় এবং কর আরোপিত পণ্য আরও ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে।

কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানিকৃত জ্বালানি তেলের ওপর শুল্ক আরোপ হলে খুচরা ব্যবসায়ী এবং ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়বে। পেট্রোল থেকে শুরু করে সব ধরনের তেলের দাম আরও বৃদ্ধি পাবে। কেননা, মার্কিন তেল আমদানিকারকরা যে অপরিশোধিত তেল সরবরাহ করে তার প্রায় ৪০ শতাংশ আমদানি করা হয়। এর বেশিরভাগই আসে কানাডা থেকে।