London ১০:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাচ্চি ভাইয়ের বিরুদ্ধে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলা

অনলাইন ডেস্ক:

যশোর শহরের জনপ্রিয় তিন প্রতিষ্ঠান ‘কাচ্চি ভাই’, ‘জনি কাবাব’ ও ‘অনন্যা ঘোষ ডেইরি’র বিরুদ্ধে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে ফেলা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত ও সরবরাহ এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতে মান লঙ্ঘনের অভিযোগে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলা হয়েছে।

বুধবার (৭ মে) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার মন্ডলের নেতৃত্বে একটি টিম ওই তিন প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায়। অভিযানে অংশ নেয় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

কাচ্চি ভাইয়ের বিরুদ্ধে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলা

রান্নাঘরে স্যানিটেশনের অভাব, খাদ্যদ্রব্য অনুপযুক্তভাবে সংরক্ষণ এবং স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে খাবার প্রস্তুত করাসহ নানা অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ওই তিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেন স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মহিবুল ইসলাম।

নিরাপদ খাদ্য আদালত সূত্র জানায়, খাদ্য আদালতের ভ্রাম্যমাণ এ টিম প্রথমেই যশোরের রেলরোডের কাচ্চি ভাইতে অভিযান চালায়। নানা অসঙ্গতির কারণে প্রতিষ্ঠানের মালিক ভেকুটিয়া গ্রামের সোহেল সিরাজের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরবর্তীতে এ টিম যায় যশোরের রেলরোডের জনি কাবাবে। সেখানেও দেখতে পান একই অবস্থা। বিশেষ করে রান্নাঘরে দেখা যায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। অনিরাপদ অবস্থায় রান্না ঘরেই রয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার। এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠান মালিক বেজপাড়ার জয়নুল হক জনির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরে ওই টিম যায় যশোরের মুজিব সড়ক এলাকার অনন্যা ঘোষ ডেইরিতে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সামনে সুন্দরভাবে মিষ্টি সাজিয়ে রাখলেও ভেতরের গোডাউনে ময়লা আবর্জনার স্তূপের পাশেই রাখা হয়েছে মিষ্টির গামলাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র।

কাচ্চি ভাইয়ের বিরুদ্ধে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলা

পরে তারা ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের অনন্যা ঘোষ ডেইরির কারখানায় যান। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, ফ্রিজিং ও স্টোরেজ ব্যবস্থা নাজুকসহ নানা অসংগতি পাওয়া যায়। পরে প্রতিষ্ঠান মালিক মিহির ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এ তিন প্রতিষ্ঠানে অভিযান শেষে এ দিনের মতো কাজ শেষ করে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত টিম। অভিযানে আরও অংশ নেন জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার আব্দুর রহমান ও জেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর নাজনীন নাহার।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০২:৪০:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
Translate »

কাচ্চি ভাইয়ের বিরুদ্ধে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলা

আপডেট : ০২:৪০:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

যশোর শহরের জনপ্রিয় তিন প্রতিষ্ঠান ‘কাচ্চি ভাই’, ‘জনি কাবাব’ ও ‘অনন্যা ঘোষ ডেইরি’র বিরুদ্ধে জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে ফেলা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত ও সরবরাহ এবং খাদ্য প্রক্রিয়াজাতে মান লঙ্ঘনের অভিযোগে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলা হয়েছে।

বুধবার (৭ মে) বিকেলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার মন্ডলের নেতৃত্বে একটি টিম ওই তিন প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায়। অভিযানে অংশ নেয় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।

কাচ্চি ভাইয়ের বিরুদ্ধে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলা

রান্নাঘরে স্যানিটেশনের অভাব, খাদ্যদ্রব্য অনুপযুক্তভাবে সংরক্ষণ এবং স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে খাবার প্রস্তুত করাসহ নানা অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ওই তিন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেন স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মহিবুল ইসলাম।

নিরাপদ খাদ্য আদালত সূত্র জানায়, খাদ্য আদালতের ভ্রাম্যমাণ এ টিম প্রথমেই যশোরের রেলরোডের কাচ্চি ভাইতে অভিযান চালায়। নানা অসঙ্গতির কারণে প্রতিষ্ঠানের মালিক ভেকুটিয়া গ্রামের সোহেল সিরাজের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরবর্তীতে এ টিম যায় যশোরের রেলরোডের জনি কাবাবে। সেখানেও দেখতে পান একই অবস্থা। বিশেষ করে রান্নাঘরে দেখা যায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। অনিরাপদ অবস্থায় রান্না ঘরেই রয়েছে গ্যাস সিলিন্ডার। এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠান মালিক বেজপাড়ার জয়নুল হক জনির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরে ওই টিম যায় যশোরের মুজিব সড়ক এলাকার অনন্যা ঘোষ ডেইরিতে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সামনে সুন্দরভাবে মিষ্টি সাজিয়ে রাখলেও ভেতরের গোডাউনে ময়লা আবর্জনার স্তূপের পাশেই রাখা হয়েছে মিষ্টির গামলাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র।

কাচ্চি ভাইয়ের বিরুদ্ধে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতে মামলা

পরে তারা ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের অনন্যা ঘোষ ডেইরির কারখানায় যান। অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, ফ্রিজিং ও স্টোরেজ ব্যবস্থা নাজুকসহ নানা অসংগতি পাওয়া যায়। পরে প্রতিষ্ঠান মালিক মিহির ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এ তিন প্রতিষ্ঠানে অভিযান শেষে এ দিনের মতো কাজ শেষ করে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত টিম। অভিযানে আরও অংশ নেন জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার আব্দুর রহমান ও জেলা স্যানেটারি ইন্সপেক্টর নাজনীন নাহার।