London ০৬:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইট বাঁধা অবস্থায় পুকুড় থেকে লাশ উদ্ধার, যে কারণে হত্যা করা হয় দৃষ্টিকে

অনলাইন ডেস্ক

স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিককে বিয়ে করতে এসে হত্যার শিকার হয়েছেন সুরাইয়া শারমিন দৃষ্টি (৩৩)। পুলিশ ইতিমধ্যে এই হত্যার অভিযোগে প্রধান আসামিসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ফকিরহাট মডেল থানার ওসি এস এম আলমগীর কবীর।

গ্রেফতাররা হলেন- নড়াইল এলাকার সাইদুর রহমান (৩৫), ফকিরহাট জয়পুর এলাকার মাহিন্দ্রা চালক আজিজুর রহমান নয়ন (৩২) ও মাহিন্দ্রা চালক শহিদুর রহমান (৪৫)।

ওসি এস এম আলমগীর কবীর জানান, নড়াইল জেলা সদর উপজেলার আলাদাতপুর এলাকার মৃত আব্দুল করিম মোল্লার মেয়ে নিহত সুরাইয়া শারমিন দৃষ্টির সঙ্গে গ্রেফতার আসামি সাইদুর রহমনের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল।

গত৩১ জানুয়ারি দৃষ্টি তার স্বামীকে ছেড়ে সাইদুর রহমানকে বিয়ে করার জন্য বান্ধবীর স্বামী মাহিন্দ্রা চালক আজিজুর রহমান নয়নের বাড়ি বাগেরহাটের ফকিরহাটে আসেন। একই সময় প্রেমিক সাইদুর রহমানও একই স্থানে আসেন।

ওসি জানান, ওই দিন রাত ১১টার দিকে ওই বাড়িতেই দৃষ্টিকে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সাইদুর রহমান নিজেই। পরে আজিজুর রহমান নয়ন ও অপর এক সহযোগী মাহিন্দ্রা চালক শহিদুর রহমান তিন জন মিলে পার্শ্ববর্তী জয়পুরের সাবেক ইউপি সদস্য সলেমান শেখের বাড়ির পুকুরে ইট বেঁধে লাশ ফেলে দেয়।

পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য সলেমান শেখের পুকুর থেকে শরীরে ইট বাঁধা ও গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দৃষ্টির লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের মা সবেজান বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করেন ফকিরহাট মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। আসামিরা হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে বলে জানান। প্রধান আসামি সাইদুর রহমানকে নড়াইল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আনার জন্য ফকিরহাট থানা পুলিশ সেখানে পৌঁছেছেন। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৫:৪৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
Translate »

ইট বাঁধা অবস্থায় পুকুড় থেকে লাশ উদ্ধার, যে কারণে হত্যা করা হয় দৃষ্টিকে

আপডেট : ০৫:৪৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

স্বামীকে ছেড়ে প্রেমিককে বিয়ে করতে এসে হত্যার শিকার হয়েছেন সুরাইয়া শারমিন দৃষ্টি (৩৩)। পুলিশ ইতিমধ্যে এই হত্যার অভিযোগে প্রধান আসামিসহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে। বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ফকিরহাট মডেল থানার ওসি এস এম আলমগীর কবীর।

গ্রেফতাররা হলেন- নড়াইল এলাকার সাইদুর রহমান (৩৫), ফকিরহাট জয়পুর এলাকার মাহিন্দ্রা চালক আজিজুর রহমান নয়ন (৩২) ও মাহিন্দ্রা চালক শহিদুর রহমান (৪৫)।

ওসি এস এম আলমগীর কবীর জানান, নড়াইল জেলা সদর উপজেলার আলাদাতপুর এলাকার মৃত আব্দুল করিম মোল্লার মেয়ে নিহত সুরাইয়া শারমিন দৃষ্টির সঙ্গে গ্রেফতার আসামি সাইদুর রহমনের দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল।

গত৩১ জানুয়ারি দৃষ্টি তার স্বামীকে ছেড়ে সাইদুর রহমানকে বিয়ে করার জন্য বান্ধবীর স্বামী মাহিন্দ্রা চালক আজিজুর রহমান নয়নের বাড়ি বাগেরহাটের ফকিরহাটে আসেন। একই সময় প্রেমিক সাইদুর রহমানও একই স্থানে আসেন।

ওসি জানান, ওই দিন রাত ১১টার দিকে ওই বাড়িতেই দৃষ্টিকে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সাইদুর রহমান নিজেই। পরে আজিজুর রহমান নয়ন ও অপর এক সহযোগী মাহিন্দ্রা চালক শহিদুর রহমান তিন জন মিলে পার্শ্ববর্তী জয়পুরের সাবেক ইউপি সদস্য সলেমান শেখের বাড়ির পুকুরে ইট বেঁধে লাশ ফেলে দেয়।

পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার নলধা-মৌভোগ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য সলেমান শেখের পুকুর থেকে শরীরে ইট বাঁধা ও গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দৃষ্টির লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের মা সবেজান বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করেন ফকিরহাট মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। আসামিরা হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে বলে জানান। প্রধান আসামি সাইদুর রহমানকে নড়াইল এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আনার জন্য ফকিরহাট থানা পুলিশ সেখানে পৌঁছেছেন। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে আসামিদের গ্রেফতার করা হয়েছে।