London ০৩:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১১ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
সর্প দংশন বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা পটুয়াখালীর নতুন জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের খোঁজখবর নিলেন জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু ছোটবনগ্রামে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ পটুয়াখালীতে উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে ৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ রাজশাহীতে কর্মচারি ঐক্য পরিষদের মানববন্ধন সিরাজগঞ্জে মিথ্যা সংবাদ প্রচারে ডিলারশীপ বাতিলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উল্লাপাড়ায় র‌্যাবের অভিযানে কষ্টি পাথরের মূর্তিসহ দুই পাচারকারী গ্রেফতার পাবনায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবদল নেতা নিহত, আহত ১ রাজশাহীতে সাবেক ডিবি হাসান কে গণপিটুনি

আসামির জামিনের জন্য বিচারকের কাছে টাকার বান্ডিল পাঠালেন পিপি

মুহাম্মাদ রাকিব, পটুয়াখালী প্রতিনিধি:

পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা জজ) নিলুফার শিরিনকে ঘুস দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তার সদস্য পদ স্থগিত করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি। একইসঙ্গে তাকে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

ঢাকা বার কাউন্সিলের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগে বিচারক নিলুফার শিরিন উল্লেখ করেন, বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে তার বাসার গৃহপরিচারিকার মাধ্যমে মামলার নথিপত্রসহ ৫০ হাজার টাকার একটি বান্ডিল পাঠান পিপি রুহুল আমিন। অভিযোগে আরও বলা হয়, নারী ও শিশু বিষয়ক একটি মামলায় জামিনের বিষয়ে বিচারকের মোবাইল নম্বরে বারবার সুপারিশ করেছিলেন রুহুল আমিন। এছাড়া আলোচিত শহীদ জসিম উদ্দীনের মেয়ের ধর্ষণ মামলায়ও আসামিপক্ষের হয়ে যোগাযোগ করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগে বিচারক উল্লেখ করেন, ‌‘এভাবে ঘুস পাঠানোতে আমি মানসিকভাবে অত্যন্ত অপমানিত এবং তীব্র রাগবোধ করছি। অফিসে গিয়ে আমি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা জজের সরকারি কৌঁসুলিকে বিষয়টি অবহিত করি ও প্যাকেটটি দেখাই। তারাও প্রচণ্ড রাগান্বিত হন এবং আমাকে বিষয়টি ছোট করে না দেখার পরামর্শ দেন। আমি আশা করি অভিযুক্ত পিপির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির বলেন, ‘একজন পাবলিক প্রসিকিউটর সরকারের পক্ষে না থেকে আসামিপক্ষের হয়ে বিচারককে ঘুস দেওয়ার ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। আজ জরুরি সভায় বেশিরভাগ আইনজীবীর উপস্থিতিতে তার সদস্য পদ সাময়িকভাবে স্থগিত এবং সাত দিনের মধ্যে লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন পিপি রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ‘এটা আইনজীবীদের একটি ষড়যন্ত্র। আমি দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে আইন পেশায় কাজ করে যাচ্ছি।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৪:৪২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
১৪
Translate »

আসামির জামিনের জন্য বিচারকের কাছে টাকার বান্ডিল পাঠালেন পিপি

আপডেট : ০৪:৪২:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা জজ) নিলুফার শিরিনকে ঘুস দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তার সদস্য পদ স্থগিত করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি। একইসঙ্গে তাকে সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

ঢাকা বার কাউন্সিলের সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগে বিচারক নিলুফার শিরিন উল্লেখ করেন, বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে তার বাসার গৃহপরিচারিকার মাধ্যমে মামলার নথিপত্রসহ ৫০ হাজার টাকার একটি বান্ডিল পাঠান পিপি রুহুল আমিন। অভিযোগে আরও বলা হয়, নারী ও শিশু বিষয়ক একটি মামলায় জামিনের বিষয়ে বিচারকের মোবাইল নম্বরে বারবার সুপারিশ করেছিলেন রুহুল আমিন। এছাড়া আলোচিত শহীদ জসিম উদ্দীনের মেয়ের ধর্ষণ মামলায়ও আসামিপক্ষের হয়ে যোগাযোগ করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগে বিচারক উল্লেখ করেন, ‌‘এভাবে ঘুস পাঠানোতে আমি মানসিকভাবে অত্যন্ত অপমানিত এবং তীব্র রাগবোধ করছি। অফিসে গিয়ে আমি জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা জজের সরকারি কৌঁসুলিকে বিষয়টি অবহিত করি ও প্যাকেটটি দেখাই। তারাও প্রচণ্ড রাগান্বিত হন এবং আমাকে বিষয়টি ছোট করে না দেখার পরামর্শ দেন। আমি আশা করি অভিযুক্ত পিপির বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির বলেন, ‘একজন পাবলিক প্রসিকিউটর সরকারের পক্ষে না থেকে আসামিপক্ষের হয়ে বিচারককে ঘুস দেওয়ার ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। আজ জরুরি সভায় বেশিরভাগ আইনজীবীর উপস্থিতিতে তার সদস্য পদ সাময়িকভাবে স্থগিত এবং সাত দিনের মধ্যে লিখিত জবাব চাওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন পিপি রুহুল আমিন। তিনি বলেন, ‘এটা আইনজীবীদের একটি ষড়যন্ত্র। আমি দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে আইন পেশায় কাজ করে যাচ্ছি।’