London ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসছে শৈত্যপ্রবাহ, মাসজুড়ে চলতে পারে হাড়কাঁপানো শীত

অনলাইন ডেস্ক

দেশের বেশির ভাগ এলাকার তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। গোপালগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি পৌঁছেছে।

শুক্রবার থেকে সপ্তাহজুড়ে শীত বাড়তে পারে। দুই দিনের মাথায় দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে শুরু করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

চলতি সপ্তাহজুড়ে তো বটেই, মাসজুড়ে হাড়কাঁপানো শীত চলতে পারে। আর এবার শীত অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি হতে পারে বলেও মনে করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, ‘ভারতের দিল্লি ও উত্তর প্রদেশ হয়ে বিহার ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চল ধরে কুয়াশার এই দীর্ঘ বলয়। শীতে এমনটাই থাকে। দিন যত বাড়বে, কুয়াশার পরিমাণ তত বাড়তে পারে।’

বজলুর রশীদ আরও বলেন, ‘কুয়াশার সঙ্গে বায়ুদূষণের একটি সম্পর্ক আছে। আন্তসীমান্ত দূষণের সঙ্গে আমাদের স্থানীয় উৎসগুলো মিলিয়ে দূষণ বাড়িয়ে তোলে। অন্য বছরগুলোর তুলনায় শীত কিছুটা বেশি হতে পারে।’

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বঙ্গোপসাগরে একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে তা শ্রীলঙ্কা উপকূলের কাছাকাছি চলে গেছে। কিন্তু এর প্রভাবে সাগরে প্রচুর মেঘমালা তৈরি হয়েছে। তা উপকূল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে হিমালয় পেরিয়ে ভারতের বিহার হয়ে আসা শীতল বায়ু বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করেছে। শীতল বায়ু আর উপকূল থেকে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস মিলে ভারী কুয়াশা তৈরি হয়েছে। ওই কুয়াশা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভারী কুয়াশার কারণে দিনে রোদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে তাপমাত্রা খুব বেশি না কমলেও শীতের অনুভূতি গেছে বেড়ে। বিশেষ করে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ায় শরীর দিনের বেলা কোনো উষ্ণতা পাচ্ছে না।

ফলে দিনভর শীতল অনুভূতির পর সূর্য ডোবার পর শীতের কষ্ট যাচ্ছে বেড়ে। এ ধরনের আবহাওয়া চলতি সপ্তাহের বাকি সময়জুড়ে থাকতে পারে। ফলে তাপমাত্রা খুব বেশি না কমলেও, অর্থাৎ শৈত্যপ্রবাহ না বয়ে গেলেও শীতের কষ্ট বাড়তে পারে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা ও গোপালগঞ্জে, ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৪:১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪
৩৬
Translate »

আসছে শৈত্যপ্রবাহ, মাসজুড়ে চলতে পারে হাড়কাঁপানো শীত

আপডেট : ০৪:১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪

দেশের বেশির ভাগ এলাকার তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। গোপালগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি পৌঁছেছে।

শুক্রবার থেকে সপ্তাহজুড়ে শীত বাড়তে পারে। দুই দিনের মাথায় দেশের উত্তরাঞ্চল থেকে শুরু করে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়তে পারে।

চলতি সপ্তাহজুড়ে তো বটেই, মাসজুড়ে হাড়কাঁপানো শীত চলতে পারে। আর এবার শীত অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি হতে পারে বলেও মনে করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বলেন, ‘ভারতের দিল্লি ও উত্তর প্রদেশ হয়ে বিহার ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চল ধরে কুয়াশার এই দীর্ঘ বলয়। শীতে এমনটাই থাকে। দিন যত বাড়বে, কুয়াশার পরিমাণ তত বাড়তে পারে।’

বজলুর রশীদ আরও বলেন, ‘কুয়াশার সঙ্গে বায়ুদূষণের একটি সম্পর্ক আছে। আন্তসীমান্ত দূষণের সঙ্গে আমাদের স্থানীয় উৎসগুলো মিলিয়ে দূষণ বাড়িয়ে তোলে। অন্য বছরগুলোর তুলনায় শীত কিছুটা বেশি হতে পারে।’

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বঙ্গোপসাগরে একটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ সৃষ্টি হয়ে তা শ্রীলঙ্কা উপকূলের কাছাকাছি চলে গেছে। কিন্তু এর প্রভাবে সাগরে প্রচুর মেঘমালা তৈরি হয়েছে। তা উপকূল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে শুরু করেছে।

অন্যদিকে হিমালয় পেরিয়ে ভারতের বিহার হয়ে আসা শীতল বায়ু বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে প্রবেশ করেছে। শীতল বায়ু আর উপকূল থেকে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ বাতাস মিলে ভারী কুয়াশা তৈরি হয়েছে। ওই কুয়াশা সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

ভারী কুয়াশার কারণে দিনে রোদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে তাপমাত্রা খুব বেশি না কমলেও শীতের অনুভূতি গেছে বেড়ে। বিশেষ করে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ায় শরীর দিনের বেলা কোনো উষ্ণতা পাচ্ছে না।

ফলে দিনভর শীতল অনুভূতির পর সূর্য ডোবার পর শীতের কষ্ট যাচ্ছে বেড়ে। এ ধরনের আবহাওয়া চলতি সপ্তাহের বাকি সময়জুড়ে থাকতে পারে। ফলে তাপমাত্রা খুব বেশি না কমলেও, অর্থাৎ শৈত্যপ্রবাহ না বয়ে গেলেও শীতের কষ্ট বাড়তে পারে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গা ও গোপালগঞ্জে, ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।