আলফাডাঙ্গায় বি এনপি নেতার বিরুদ্ধে বিধবা নারীর বাড়ীতে হামলা, লুটপাটের অভিযোগ

ফরিদপুর (আলফাডাঙ্গা) প্রতিনিধি :ফরিদপুর আলফাডাঙ্গা উপজেলা বি এনপির আহবায়ক আব্দুল মান্নান আব্বাস (স্থগিত) কমিটি এর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন আসমা খাতুন নামে এক বিধবা নারী।
আলফাডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স হল রুমে পৌরসভার বাঁকাইল গ্রামের মৃত রওশন আলমের স্ত্রী আসমা খাতুন সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে কান্না জড়িত ভাবে আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক( স্থগিত) আবদুল মান্নান আব্বাস বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
আব্দুল মান্নান মিয়া আব্বাস, পিং মৃত রাজা মিয়া, সাং বাঁকাইল, ডাকঘর- আলফাডাঙ্গা, উপজেলা- আলফাডাঙ্গা, জেলা- ফরিদপুর। বর্তমানে আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি (স্থগিত) কমিটির আহবায়ক। আব্দুল মান্নান মিয়া আব্বাস এর নেতৃত্বে আব্দুল মান্নান মিয়া আব্বাস সহ অন্যান্য আসামী মুকুল মোল্যা, বকুল হোসেন, জাকির মোল্যা, পদ্ম আফসানা মনিরা, স্বপ্না বেগম নামা ৮/১০ জন লোক গত ইং ২৫/০৩/২০২৫ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার সকাল অনুমান ১১.০০ ঘটিকায় আমার বসতবাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করিয়া নামাকৃত ব্যক্তিগন মারাত্মক প্রাণনাশক অস্ত্র রামদা, ছ্যানদা, লোহার রড, শাবল, বাশের লাঠি ইত্যাদি অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আমার বসতবাড়ীতে অনাধিকার প্রবেশ করিয্য আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। আমি গালিগালাজ করিতে নিষেধ করিলে আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপি স্থপিত কমিটির আহবায়ক আব্দুল মান্নান মিয়া আলাস হকুম দিয়া বলে কুত্তার বাচ্চাকে আমাদের সাথে জমিজম নিয়ে বিরোধ করার সাধ মিটাইয়া দে। ওকে খুন কর। আব্দুল মান্নান মিয়া আব্বাস আমার পরিহিত কাপড় ছোপড় টানা হেচড়া করিয়া বেবস্ত করিয়া ফেলে। আমার কন্যা উম্মে রাখিদায়( মেধা) ঠেকাইতে গেলে তাকেও মারপিট করে। ১২ আনা ওজেরন একটি স্বর্ণের চেইন যার মূল্য ১,১০,০০০/-টাকা মোর পূর্বক ছিনাইয়া নেয়। আব্দুল মান্নান মিয়া আব্বাস আমার বসতঘরের ভিতর প্রবেশ করিয়া স্টীলের আলমারী এর ড্রয়াে থাকা আমার ও আমার কন্যার ব্যবহৃত ৩ভরি ওজনের দুটি সোবার রুলি আড়াই ভরি ওজনের ১টি নেকলেচ, ১ভরি ওজনের ১টি গলার হার, ১ ভরি ওজনের ২টি জোড়া সোনার কানের দুল, ৮আনা ওজনের ২টি সোনার আংটি যাহার মুল্য অনুমান ১২,০০,০০০/-টাকা আলমারী এর ড্রয়ারের তালা ভাদিয়া নিয়া যায়। আব্দুল মান্নান মিয়া আব্বাস এর হুকুমে অন্যান আসামীরা আমার বসতবাড়ির ঘরে থাকা সমস্ত মালামাল লুটপাট করিয়া নিয়া যায়। পরবর্তীতে উক্ত বিষয় নিয়া আমি বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৯নং আমলা আদালতে মামলা করি। যাহা আলফাডাঙ্গা সি,আর ৭৪/২৫। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি পিবিআই ফরিদপুরে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। মামলা করার পর আব্দুল মান্নান মিয়া আব্বাস হুমকি দিয়ে বলে যে, আমি থানা বিএনপির সভাপতি, তোর এত বড় সাহস। তোকে আর তোর মেয়েকে খুন করে লাশ গুম করে দিব। তোদের ভিটা ছাড়া করিয়া দিব। তোদের নামে মিথ্যা মামলা মোকাদ্দমা দিব। আব্দুল মন্ত্রান মিয়া আব্বাস সহ উপরোক্ত ব্যক্তিদের নামে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ফরিদপুর দেঃকাঃ বিঃ ১০৭/১১৭ (স) ধারায় এবং বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ফৌঃকাঃবিঃ ১৪৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করি। যাহা আলফাডাঙ্গা পিটিশন ১৮৯/২৫ মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন আছে। আসমা খাতুন বলেন আমি এই বিষয়ে বিএনপির জেলা কমিটি ও কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট আব্দুল মান্নান মিয়া আব্বাস এর বিরুদ্ধে বিচার চাই।






















