London ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
সিংড়ায় ৩১ দফার প্রচারণায় বিএনপি নেতা দাউদার মাহমুদ কার্ডিফ বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন, আব্দুল হান্নান সভাপতি, মকিস মনসুর, সম্পাদক নির্বা‌চিত নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ঝুমা তালুকদার ঢাকায় গ্রেপ্তার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রিফাতের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন কায়সার কামাল ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আ ন ম খলিলুর রহমান ইব্রাহিম (ভিপি) সদস্য সচিব ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু ভূমি অধিগ্রহণের টাকা নয়ছয়ের মিথ্যা সংবাদে ক্ষোভ: সাবেক প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা কাপাসিয়ায় বন খেকোদের হামলায় তিন সাংবাদিক আহত, আটক ৩ প্রিপেইড মিটার বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন দুর্গাপুরে মাদক কেনাবেচার সময় ২৮০ পিস ইয়াবাসহ পুলিশের জালে ধরা দুই মাদক কারবারি জনগণের সর্বোচ্চ ভোটে হবিগঞ্জ-৪ বিএনপিকে উপহার দিতে চাই : সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সল

আর জি কর কাণ্ডে ৫৯ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

পশ্চিমবঙ্গে আর জি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আন্দোলন করছেন জুনিয়র চিকিসকসহ নানা শ্রেণি–পেশার মানুষছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আরজি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ‘থ্রেট কালচারে’ অভিযুক্ত ৫৯ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ওই হাসপাতালের মেডিকেল কাউন্সিল। গতকাল শনিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গড়া তদন্ত কমিটির তদন্ত শেষে সুপারিশের ভিত্তিতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।  

গত ৯ আগস্ট আর জি কর হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। এর পর থেকে রাজ্যজুড়ে চলে চিকিৎসকদের তুমুল আন্দোলন। রাজপথের আন্দোলনে যুক্ত হন নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ। তুমুল আন্দোলনের মুখে আর জি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করা হয়। বদলি করা হয় কলকাতার পুলিশ কমিশনারকেও।

এসবের মধ্যে হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকেরা তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যান। এর মধ্যেই তাঁরা ‘থ্রেট কালচারের’ অভিযোগ তোলেন। অর্থাৎ, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এরই প্রতিবাদে আবার গর্জে ওঠেন তাঁরা।

আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে আর জি কর হাসপাতালের ৫৯ জনের বিরুদ্ধে ‘থ্রেট কালচার’ বা বিভিন্ন হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। তাঁরা সবাই ওই হাসপাতালের চিকিৎসক, হাউজ স্টাফ ও ইন্টার্ন। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। অভিযুক্ত ৫৯ জনের কথাও শোনা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে বিভিন্ন অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মেলে। এর পরই হাসপাতালের মেডিকেল কাউন্সিল ৫৯ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তির সুপারিশ করে। ৫৯ জনকে চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে অভিযোগের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তির কথা বলা হয়।

ক্যাটাগরি ওয়ান-এর আওতায় যে ১০ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাঁদের মেডিকেল কলেজ থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ওই হাসপাতালের তৃণমূল কংগ্রেসপন্থী চিকিৎসক নেতা আশীষ পান্ডেও। তিনি ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ ১০ জনকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালের হোস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ক্যাটাগরি ওয়ান-বি–এর আওতায় রয়েছে ২৭ জনের নাম। তাঁদের সবাইকে হোস্টেল থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ক্যাটাগরিতে থাকা ডাক্তারিপড়ুয়া, ইন্টার্ন ও হাউজ স্টাফদের বিভিন্ন শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।

ক্যাটাগরি টুতে থাকা ১৬ জন এবং ক্যাটাগরি থ্রিতে থাকা ৬ জনের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে মেডিকেল কাউন্সিল। এই নির্দেশপত্রে সই করেছেন আর জি কর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও মেডিকেল সুপার।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১২:২৫:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
১০১
Translate »

আর জি কর কাণ্ডে ৫৯ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

আপডেট : ১২:২৫:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

পশ্চিমবঙ্গে আর জি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আন্দোলন করছেন জুনিয়র চিকিসকসহ নানা শ্রেণি–পেশার মানুষছবি: ভাস্কর মুখার্জি

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আরজি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় ‘থ্রেট কালচারে’ অভিযুক্ত ৫৯ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে ওই হাসপাতালের মেডিকেল কাউন্সিল। গতকাল শনিবার অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গড়া তদন্ত কমিটির তদন্ত শেষে সুপারিশের ভিত্তিতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।  

গত ৯ আগস্ট আর জি কর হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়। এর পর থেকে রাজ্যজুড়ে চলে চিকিৎসকদের তুমুল আন্দোলন। রাজপথের আন্দোলনে যুক্ত হন নানা শ্রেণি–পেশার মানুষ। তুমুল আন্দোলনের মুখে আর জি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করা হয়। বদলি করা হয় কলকাতার পুলিশ কমিশনারকেও।

এসবের মধ্যে হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকেরা তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যান। এর মধ্যেই তাঁরা ‘থ্রেট কালচারের’ অভিযোগ তোলেন। অর্থাৎ, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। এরই প্রতিবাদে আবার গর্জে ওঠেন তাঁরা।

আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে আর জি কর হাসপাতালের ৫৯ জনের বিরুদ্ধে ‘থ্রেট কালচার’ বা বিভিন্ন হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। তাঁরা সবাই ওই হাসপাতালের চিকিৎসক, হাউজ স্টাফ ও ইন্টার্ন। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। অভিযুক্ত ৫৯ জনের কথাও শোনা হয়।

তদন্ত প্রতিবেদনে বিভিন্ন অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মেলে। এর পরই হাসপাতালের মেডিকেল কাউন্সিল ৫৯ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তির সুপারিশ করে। ৫৯ জনকে চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে অভিযোগের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তির কথা বলা হয়।

ক্যাটাগরি ওয়ান-এর আওতায় যে ১০ জনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাঁদের মেডিকেল কলেজ থেকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ওই হাসপাতালের তৃণমূল কংগ্রেসপন্থী চিকিৎসক নেতা আশীষ পান্ডেও। তিনি ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন। এ ১০ জনকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালের হোস্টেল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ক্যাটাগরি ওয়ান-বি–এর আওতায় রয়েছে ২৭ জনের নাম। তাঁদের সবাইকে হোস্টেল থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ক্যাটাগরিতে থাকা ডাক্তারিপড়ুয়া, ইন্টার্ন ও হাউজ স্টাফদের বিভিন্ন শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।

ক্যাটাগরি টুতে থাকা ১৬ জন এবং ক্যাটাগরি থ্রিতে থাকা ৬ জনের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে মেডিকেল কাউন্সিল। এই নির্দেশপত্রে সই করেছেন আর জি কর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও মেডিকেল সুপার।