London ০২:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমেরিকার ছত্রছায়ায় ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল : মামুনুল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ফিলিস্তিন আজ একটি কবরখানায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি মামুনুল হক। তিনি বলেছেন, অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল গাজায় যে গণহত্যা চালাচ্ছে, তা ইতিহাসের সমস্ত নিষ্ঠুরতাকে হার মানিয়েছে। এই জুলুমের নেপথ্য কারিগর হচ্ছে আমেরিকা।

সোমবার (৭ মার্চ) রাজধানীর বাইতুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

মামুনুল হক বলেন, আমেরিকার প্রত্যক্ষ সমর্থন ও অস্ত্রসজ্জায় ইসরায়েল বারবার ফিলিস্তিনিদের রক্তে হোলি খেলছে। আমেরিকা নিজেকে মানবাধিকারের রক্ষাকর্তা দাবি করলেও আজ তাদের মুখোশ খুলে গেছে— তারা জায়োনিস্ট সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক।

তিনি বলেন, ইসরায়েল শুধু একটি অবৈধ রাষ্ট্র নয় বরং মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি ক্যান্সার। এ ক্যান্সারের মূলোৎপাটন এখন সময়ের দাবি। ফিলিস্তিনকে মুক্ত করা মুসলিম উম্মাহর ওপর ফরজ হয়ে গেছে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক লড়াই ছাড়া মুক্তি নেই।

সংহতি সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের অন্যান্য নেতারা বলেন, ফিলিস্তিন কেবল ইতিহাস নয় এটি মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ের স্পন্দন। এই ভূমিকে আল্লাহ পবিত্র আখ্যা দিয়েছেন। এখান থেকেই নবীজি (সা.)-এর ইসরা ও মেরাজ শুরু হয়েছিল। এই মোবারক ভূমিকে ধ্বংস করতে ইসরায়েল যতই চেষ্টা করুক, সফল হবে না।

তারা বলেন, ইহুদিদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহর প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে। রাসুল (সা.) ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন— একদিন মুসলমানদের একটি দল এই দখলদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে এবং বিজয়ী হবে। ইনশাআল্লাহ, সেই দিন আর বেশি দূরে নয়। ফিলিস্তিন হবে বিজয়ীদের ভূমি, আর ইসরায়েলের কবরও সেখানেই রচিত হবে।

এ সময় বক্তারা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে ইসরায়েল ও তার মিত্র সব রাষ্ট্রের পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান।

ভারত প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, ভারতের হিন্দুত্ববাদী মোদী সরকার একের পর এক মুসলিমবিরোধী পদক্ষেপ নিচ্ছে। ওয়াকফ সম্পত্তি আইনের সংশোধনের মাধ্যমে দেশটির মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদরাসা ও এতিমখানাগুলোর ওপর দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। হেফাজতে ইসলাম এরও তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং মুসলিম নিপীড়নের বিরুদ্ধে ভারতের বিরুদ্ধেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, অর্থ সম্পাদক মনির হোসাইন কাসেমী, মুফতি হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, মাওলানা ফয়সাল আহমাদ, মাওলানা হোসাইন আকন্দ, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসউদ খান, মাওলানা হাকীম আজহারুল ইসলাম নোমানী প্রমুখ।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতের পল্টন জোন সভাপতি ও দিলু রোড মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি সালাউদ্দীন। সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:৪৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫
১৩
Translate »

আমেরিকার ছত্রছায়ায় ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল : মামুনুল হক

আপডেট : ১১:৪৪:৪৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৭ এপ্রিল ২০২৫

ফিলিস্তিন আজ একটি কবরখানায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি মামুনুল হক। তিনি বলেছেন, অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল গাজায় যে গণহত্যা চালাচ্ছে, তা ইতিহাসের সমস্ত নিষ্ঠুরতাকে হার মানিয়েছে। এই জুলুমের নেপথ্য কারিগর হচ্ছে আমেরিকা।

সোমবার (৭ মার্চ) রাজধানীর বাইতুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

মামুনুল হক বলেন, আমেরিকার প্রত্যক্ষ সমর্থন ও অস্ত্রসজ্জায় ইসরায়েল বারবার ফিলিস্তিনিদের রক্তে হোলি খেলছে। আমেরিকা নিজেকে মানবাধিকারের রক্ষাকর্তা দাবি করলেও আজ তাদের মুখোশ খুলে গেছে— তারা জায়োনিস্ট সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক।

তিনি বলেন, ইসরায়েল শুধু একটি অবৈধ রাষ্ট্র নয় বরং মধ্যপ্রাচ্যের জন্য একটি ক্যান্সার। এ ক্যান্সারের মূলোৎপাটন এখন সময়ের দাবি। ফিলিস্তিনকে মুক্ত করা মুসলিম উম্মাহর ওপর ফরজ হয়ে গেছে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক লড়াই ছাড়া মুক্তি নেই।

সংহতি সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের অন্যান্য নেতারা বলেন, ফিলিস্তিন কেবল ইতিহাস নয় এটি মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ের স্পন্দন। এই ভূমিকে আল্লাহ পবিত্র আখ্যা দিয়েছেন। এখান থেকেই নবীজি (সা.)-এর ইসরা ও মেরাজ শুরু হয়েছিল। এই মোবারক ভূমিকে ধ্বংস করতে ইসরায়েল যতই চেষ্টা করুক, সফল হবে না।

তারা বলেন, ইহুদিদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহর প্রতিরোধ অব্যাহত থাকবে। রাসুল (সা.) ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন— একদিন মুসলমানদের একটি দল এই দখলদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে এবং বিজয়ী হবে। ইনশাআল্লাহ, সেই দিন আর বেশি দূরে নয়। ফিলিস্তিন হবে বিজয়ীদের ভূমি, আর ইসরায়েলের কবরও সেখানেই রচিত হবে।

এ সময় বক্তারা বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে ইসরায়েল ও তার মিত্র সব রাষ্ট্রের পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান।

ভারত প্রসঙ্গে বক্তারা বলেন, ভারতের হিন্দুত্ববাদী মোদী সরকার একের পর এক মুসলিমবিরোধী পদক্ষেপ নিচ্ছে। ওয়াকফ সম্পত্তি আইনের সংশোধনের মাধ্যমে দেশটির মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদরাসা ও এতিমখানাগুলোর ওপর দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। হেফাজতে ইসলাম এরও তীব্র প্রতিবাদ জানায় এবং মুসলিম নিপীড়নের বিরুদ্ধে ভারতের বিরুদ্ধেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা আহমাদ আলী কাসেমী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, অর্থ সম্পাদক মনির হোসাইন কাসেমী, মুফতি হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী, মুফতি ফখরুল ইসলাম, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, মাওলানা ফয়সাল আহমাদ, মাওলানা হোসাইন আকন্দ, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসউদ খান, মাওলানা হাকীম আজহারুল ইসলাম নোমানী প্রমুখ।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতের পল্টন জোন সভাপতি ও দিলু রোড মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি সালাউদ্দীন। সমাবেশ পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী।